
ছবিঃ সংগৃহীত
প্রতি বছরের মতো এ ঈদেও পাবনার বেড়া উপজেলার দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে মাত্র ২ টাকায় ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। পাবনার বেড়া উপজেলার শিক্ষার্থী সহযোগিতা সংগঠন এ আয়োজন করে।
‘দুই টাকায় ঈদের আমেজ’—এই ব্যতিক্রমী আয়োজনে দুই টাকার এক টোকেনে নিজের হাতে ব্যাগে ভরে বাজার করেছেন প্রায় ৭০০ হতদরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অসহায় মানুষ।
বিভিন্ন টেবিলে সাজানো ৮ রকমের পণ্যের ঈদ সামগ্রীর প্রতিটি আইটেম তারা দুই টাকায় আমেজের এই ব্যতিক্রমী বাজার থেকে ক্রয় করেছেন।
৬ জুন (শুক্রবার) বেড়া সান্যালপাড়া ঈদগাঁ মাঠে শিক্ষার্থী সহযোগিতা সংগঠন এই ব্যতিক্রম আয়োজনের মাধ্যমে অসহায়, দুস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করে।
দেখা যায়, নির্দিষ্ট দূরত্বে ৮টি টেবিলে সাজানো হয়েছে পণ্যসামগ্রী। টেবিলে থরে থরে সাজানো ছিল চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ, পোলাও চাল, সেমাই, চিনি, লবণ, সাবানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। প্রতিটি টেবিলের পেছনে দাঁড়ানো ছিল একজন করে ভলান্টিয়ার। বাজারের মূল গেটের বাইরে লাইনে দাঁড়ানো ক্রেতাদের মধ্যে থেকে একজন একজন করে প্রবেশ করেন। ভলান্টিয়ারের নিকট টোকেন জমা দিয়ে ক্রেতারা প্রতিটি টেবিল থেকে একটি করে পণ্য সংগ্রহ করেন। বাজার শেষে পণ্যভর্তি ব্যাগ নিয়ে তারা বাড়ি ফিরে যান।
প্রতি বছর ঈদে এমন আয়োজন করা হয়।
সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোরশেদুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ ফজলুর রহমান ফকির, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি হাজী মো. ইউনুস আলী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বেড়া উপজেলা শাখার আমির মো. আতাউর রহমান, বেড়া পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ময়েন উদ্দিন খাজা, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (মেডিসিন বিভাগ) ডা. তাপস কুমার দাসসহ সংগঠনটির সদস্যবৃন্দ।
শিক্ষার্থী সহযোগিতা সংগঠন প্রকৃত গরিবদের সহায়তা পৌঁছে দিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকে।
‘দুই টাকায় আমেজ’ কর্মসূচিও সেই ধারাবাহিকতার অংশ। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মেহেরাব হোসেন জিম জানান, “আমাদের সংগঠনটি ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে। এবার ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়। আগে আমরা মাদক, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কাজ করতাম। শুরুতে পাঁচজন আমাদের সহযোগিতা করতেন। এখন অনেকেই পাশে আছেন। আমরাও এখন অনেক মানুষকে সহযোগিতা করতে পারছি। আগামীতে আরও অসংখ্য মানুষকে আমরা সাহায্য করতে চাই।”
ইমরান