দৈনিক জনকণ্ঠ
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আজ ইদ উল আযহা পালন হচ্ছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশে।
ঈদের দিন ভোর থেকেই নারী পুরুষ শিশু কিশোরদের দল বেঁধে ঈদগাঁ গুলিতে যেতে দেখা গেছে পবিত্র মক্কর কাবা শরিফ, ও পবিত্র মদিনার মসজিদে নববী এবং সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রদেশের মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাধারণ মানুষের সঙ্গে ইদ উদ্যাপন করে থাকেন আরবরা ধনী গরিব নেই কোন ভেদাভেদ। এসব দেশের শীর্ষ মুসলিম নেতারা মিশে যান সাধারণ মানুষের সাথে, স্থানীয় সময় সকালে ঈদের জামাতের পর ত্যাগের নিদর্শন হিসেবে পশু কুরবানি করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
কিন্তু প্রবাসে প্রবাসীদের ইদ হয় মেঘাচ্ছন্ন ঈদের নামাজ আদায় করেন টিকই কিন্তু ঈদের সেই খুশি আনন্দ বলতে গেলে অধরা, এক প্রবাসী জেকির খানঁঁ বলেন ইদ মানে আনন্দ, সুখ মানে খুশি। এ দিনের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নানা আয়োজন থাকে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ইজতেমা ময়দানে পরিবারের ছোট-বড় সবাই নামাজ আদায় করতে যেতাম। মোনাজাত শেষে একে-অপরের সঙ্গে কোলাকুলিসহ কুশল বিনিময় হতো। আত্মীয়-স্বজন সবাই একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করতাম। সেসব দিন এখন শুধুই স্মৃতি।
প্রবাসে ইদ মানে বেদনার গাংচিল। ইদ আসলে সুন্দর স্বপ্নরা দুঃস্বপ্ন হয়ে যায়, ফেলে আসা সোনালি অতীত নিমিষেই মন খারাপের দিকে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয় আনন্দ রূপ নেয় নিরানন্দে।
বাস্তবতার দ্বারপ্রান্তে অভিজ্ঞতার আলোকে প্রবাস থেকে ঈদের বার্তার এই স্মৃতিচারণ। আর এক প্রবাসী ভাই বলেন সুখ শান্তি আর সমৃদ্ধির খোঁজে আমরা পরবাসী। আমাদের পাঠানো অর্থ নিজ পরিবারের মাঝে হাসি ফোঁটে আর দেশের অর্থনীতির চাকা বেগবান হয়।
কিন্তু আমরা সবসময় অবহেলিত তার পরেও বলবো ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক "ঈদুল আযহা" প্রবাসীরা যেন ফিরে পাক তার অধিকার
হ্যাপী
