ছবিঃ সংগৃহীত
মালয়েশিয়ায় বিশ্বে রেকর্ড সৃষ্টিকারী আমেরিকান ব্রাহমাসহ বিভিন্ন উন্নত জাতের গরু উৎপাদন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশি প্রবাসী–মালয়েশিয়ান যৌথ উদ্যোক্তারা। এসব বিশ্ববিখ্যাত গরু প্রদর্শনের জন্য কুয়ালালামপুরের শাহ আলম স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে বিশাল গরুর হাট। এই গরুর হাটে বাংলাদেশি প্রবাসীসহ মালয়েশিয়ানরা স্বপরিবারে এসে গরু কিনছেন।
মালয়েশিয়ায় কোরবানির গরু কেনার জন্য সাধারণত কোনো গরুর হাট বা বাজার বসানো হয় না। এই প্রথম কুয়ালালামপুরে গরুর হাট বসানো হয়েছে। দেশটির আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট মসজিদ ও খামার ছাড়া গরু জবাই নিষিদ্ধ। গরু খামারের মালিক ও ক্রেতার সমঝোতার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট দিন-তারিখ নির্ধারণ করে গরু পছন্দ ও চুক্তি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠান করা হয়ে থাকে। খামারের মাঝে অথবা নির্দিষ্ট মসজিদে গরু কোরবানি করে মাংস বিতরণ করা হয়।
এই গরুর হাটে রয়েছে ব্রাহমা, ক্রস ব্রাহমা, বেলজিয়ান ব্লু, ফ্রেঞ্চ লিমুজিন, ফিজিয়ান, ইন্দো-মালয়েশিয়ানসহ প্রায় শতাধিক গরু। কোরবানির জন্য আদর্শ গরু উৎপাদনের লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তি ও অর্গানিক পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে।
খামারের গরু পালন ও ২৪ ঘণ্টা দেখভালের জন্য রয়েছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একদল তরুণ প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী। গরুর খাবারের তালিকায় রয়েছে খৈল, ভুসি, গাজর, শাকসবজি, অ্যাভোকাডো, উরফি সহ বিভিন্ন ফলমূল। এজন্য গরুগুলো দেখতে অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন, তুলতুলে ও নাদুস-নুদুস। প্রথম দেখাতেই যে কারোরই পছন্দ হবে।
প্রবাসে গরু খামারের সফলতা অর্জনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখন গরুর খামার স্থাপনে উৎসাহিত হবেন এবং সৃষ্টি হবে নতুন কর্মসংস্থান—এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইমরান
