
ছবি: জনকণ্ঠ
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা পশুর হাটে অতিরিক্ত হারে খাজনা আদায়ের অপরাধে ইজারাদারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার (৬ জুন) দুপুরে ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমনা আইরিন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক হিসেবে এই জরিমানার আদেশ দেন। এছাড়া ইজারাদারদের সরকার নির্ধারিত আড়াই শতাংশ খাজনা আদায়ের নির্দেশনা দেন।
ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে জেলার সবচেয়ে বড় এই হাটে কোরবানির গরু কেনাবেচায় ৬শতাংশ হারে খাজনা আদায় করছেন ইজারাদাররা। যার ফলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে ক্ষোভ অসন্তোষ ছিল। জরিমানা করা এবং আড়াই শতাংশ হারে খাজনা আদায়ের ঘোষনায় ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা খুশি হয়েছেন।
ক্রেতা আব্দুর রহমান বলেন, “আমি ৬৭ হাজার ৫০০ টাকায় একটি গরু কিনেছি। আমার কাছ থেকে খাজনা বাবদ ৪ হাজার ৫০০ টাকা রাখা হয়েছে। এটা অত্যন্ত বেশি ও অযৌক্তিক।”
বেতাগা হাটের ইজারাদার এস এম আকরাম হোসেন বলেন, “ঈদকে সামনে রেখে হাট বড় হওয়ায় অনেক নতুন লোক ইজারা কেটেছে। ভুলবশত এই অনিয়ম হয়েছে। আমরা জরিমানা মেনে নিয়েছি এবং ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকবো।”
ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনা আইরিন বলেন, গবাদি পশু ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৫০ শতাংশ খাজনা আদায় করা যাবে। কিন্তু বেতাগা হাটের ইজারাদার ৬ শতাংশ খাজনা নিচ্ছিলেন। আমরা সতর্কতামূলক তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। ভবিষ্যতে এ ধরণের অপরাধ করলে আরও কঠোর হওয়ার কথা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ফকিরহাটের সকল পশুরহাটে পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও টহল দিচ্ছে। সব মিলিয়ে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে পশু ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বাগেরহাট জেলায় এবার কোরবানি উপলক্ষে ৮৫ হাজারের বেশি পশু লালন-পালন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩১ হাজার ৩২টি গরু, ৫১ হাজার ৬৬২টি ছাগল, ২ হাজার ২০টি ভেড়া রয়েছে। গরু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য স্থায়ী ১৭টি এবং অস্থায়ী ১৬টি হাট বসেছে। প্রতিটি হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরব উপস্থিতি রয়েছে।
আঁখি