ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আছে কমিউনিটি ক্লিনিক, নেই কোনো ডাক্তার

মোঃ সুমন আহমেদ, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ

প্রকাশিত: ০১:৪১, ২ জুন ২০২৫; আপডেট: ০১:৪২, ২ জুন ২০২৫

আছে কমিউনিটি ক্লিনিক, নেই কোনো ডাক্তার

ছবি: সংগৃহীত

সাধারণ মানুষের কষ্ট দূর করতে চালু করা হয়েছিল কমিউনিটি ক্লিনিক। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাসহ মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, টিকাদান কর্মসূচি, পুষ্টি, স্বাস্থ্যশিক্ষা, পরামর্শসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করার কথা ছিল কমিউনিটি ক্লিনিকে।

কিন্তু ভূতুড়ে অবস্থায় পড়ে আছে দুটি কমিউনিটি ক্লিনিক। যেখানে মানুষের রোগের চিকিৎসা করা হয়, কিন্তু এই ক্লিনিক দুটি নিজেই রোগী হয়ে পড়ে আছে। 

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের ধর্মপুর ও মেন্দা কমিউনিটি ক্লিনিক বিগত এক বছর থেকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) শূন্যতায় পড়ে আছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, দুর্ভোগে পড়ছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।

জানা যায়, ওই দুই ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) এক বছর আগে পাড়ি জমান বিদেশে। সেই থেকে সেবাগ্রহীতারা পড়েছেন বিপাকে।

চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত ধর্মপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের আওতাধীন কিত্তে রাজনপুর, ধর্মপুর, নলুরা, উলুরা, কাঞ্চনপুর, ইসলামপুর। মেন্দা কমিউনিটি ক্লিনিকের আওতাধীন কড়ালিয়া, মেন্দা, ধূপাখাই, হাজিনগর, দেওয়াননগরসহ বহু গ্রামের মানুষ।

ধর্মপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা জুয়েল মিয়া বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, আমাদের রোগ হলে এখান থেকেই ঔষধ নেই। কিন্তু বিগত ১ বছর থেকে ডাক্তার শূন্যতায় পড়ে আছে এটি, এলাকাবাসীসহ আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।’

হাজীনগর গ্রাম থেকে আসা রোজিনা বেগম জানান, ‘আমরা দূর থেকে পায়ে হেঁটে ক্লিনিকে এসেছি, এসে দেখি ক্লিনিক বন্ধ। সরকার গরিবের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য ক্লিনিক করেছে।’ কেউ কেউ অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে চলে গেছেন বলেও অনেক রোগীরা জানান। ডাক্তার না থাকায় স্থানীয় সেবা গ্রহীতাদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আবু সালেহীন খাঁন বলেন, ‘ধর্মপুর ও মেন্দা কমিউনিটি ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) শূন্য। এ ব্যাপারে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।’

 

 

মোঃ সুমন আহমেদ/রাকিব

×