
ছবি: সংগৃহীত
রাত জেগে থাকা এখন অনেকেরই দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কাজের চাপে কিংবা বিনোদনের নামে রাত জাগার এই প্রবণতা মানবদেহের স্বাভাবিক ছন্দে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসকদের মতে, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরে কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়, যা ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি মেজাজ খিটখিটে করে তোলে এবং দুশ্চিন্তাও বাড়ায়। শুধু তাই নয়, ঘুমের অভাব মনোযোগের ঘাটতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতায় বিঘ্ন ঘটায়।
বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, ঘুমের ঘাটতির কারণে অন্ত্রের স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে হজমের সমস্যা থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদী নানা শারীরিক জটিলতার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তাদের পরামর্শ, সুস্থ জীবনধারার জন্য প্রতিরাতে অন্তত সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করা উচিত। ঘুমের আগে স্ক্রিন টাইম যেমন মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার কমানো, একই সঙ্গে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো ও জাগার অভ্যাস গড়ে তোলা শরীর ও মনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “ঘুম শুধু বিশ্রামের সময় নয়, এটি দেহ ও মস্তিষ্কের মেরামতের সময়ও। তাই ঘুমকে বিলাসিতা না ভেবে, জীবনধারার অপরিহার্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।”
সতর্কবার্তা হিসেবে তারা জানাচ্ছেন—অতিরিক্ত রাত জাগার ফলে তাৎক্ষণিক কোনো সমস্যার চেয়ে দীর্ঘমেয়াদে অসুস্থতা ডেকে আনার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই এখনই সময় জীবনযাত্রা পরিবর্তনের মাধ্যমে ঘুমের গুরুত্বকে অগ্রাধিকার দেওয়ার।
ফারুক