
ছবিঃ সংগৃহীত
চুল পড়া একটি সাধারণ অথচ অস্বস্তিকর সমস্যা যা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অনেকেরই জীবনে দেখা দেয়। বয়স, জাতিগোষ্ঠী কিংবা জীবনযাত্রার ধরন—সব ক্ষেত্রেই চুল পড়ার প্রবণতা দেখা যায়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক পরিচর্যা এবং কারণ চিহ্নিত করা গেলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
চুল পড়ার কারণ হিসেবে উঠে আসে জেনেটিক বা বংশগত প্রভাব, বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত জটিলতা, বার্ধক্য, মানসিক চাপ এবং ভুল চুলের যত্ন। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক ট্রাইকোলজিস্ট (চুল ও স্কাল্প বিশেষজ্ঞ) এনিটান আগিডি। তিনি জানান, “চুল পড়া থেকে কেউই রেহাই পায় না। আমি নিজেও একজন বিশেষজ্ঞ হয়েও অতীতে এই সমস্যার ভুক্তভোগী ছিলাম।”
আগিডি সাধারণত আফ্রো-টেক্সচার চুলবিশিষ্ট নারীদের নিয়ে কাজ করেন, তবে চুল পড়া নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা নানান শ্রেণি-পেশার মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘ডার্মাটোলজিক সার্জারি’ জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে ১৬ শতাংশই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। এই হার ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সে বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ শতাংশে, এবং ৪০ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই এই সমস্যার সম্মুখীন হন।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, চুল পড়া শুরু হলে আতঙ্কিত না হয়ে প্রথমে সমস্যার মূল কারণ খুঁজে দেখা জরুরি। হরমোনজনিত সমস্যা, পুষ্টির ঘাটতি, কিংবা স্কাল্পের ইনফেকশন – এগুলোর যেকোনো একটি থেকেও চুল পড়তে পারে। নির্ভরযোগ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করলে অনেক ক্ষেত্রেই চুল পড়া রোধ করা সম্ভব।
চুল পড়া পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব না হলেও, সঠিক পদ্ধতিতে যত্ন নিলে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা গ্রহণ করলে তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনা যায়। এজন্য প্রয়োজন সময়মতো সচেতনতা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও মানসিক চাপ কমানো।
সূত্রঃ বিবিসি
নোভা