
পবিত্র ঈদুল আজহার সময় পশু কোরবানির রীতি শুধু ধর্মীয় দায়িত্ব নয়, বরং হাজারো মানুষের কাছে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক উৎসবও। কিন্তু এই সময় ছুরি ও অন্যান্য ধারালো সরঞ্জামের অসাবধান ব্যবহারে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
চট্টগ্রামের সরকারি ও বেসরকারি বেশ কিছু হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির ঈদের দিনগুলোতে ছুরি-কাঁচির আঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। অনেক সময় এসব আঘাত গুরুতর জখমে রূপ নেয়—বিশেষ করে হাত, আঙুল বা কাঁধে কাটা পড়ে এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পেলে সংক্রমণ বা স্থায়ী ক্ষতির ঝুঁকি থাকে।
নিরাপদ কোরবানির জন্য করণীয়:
১. সতর্কতা অবলম্বন:
ছুরি বা দা ব্যবহার করার সময় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। দ্রুততার চেয়ে নিয়ন্ত্রণ ও স্থিরতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
২. নির্দিষ্ট ও পরিষ্কার স্থান:
জবাই ও মাংস কাটার জন্য আলাদা জায়গা নির্ধারণ করুন যেখানে পর্যাপ্ত আলো ও পরিষ্কার পরিবেশ থাকবে। প্রয়োজনে একজন সহকারী রাখুন।
৩. শিশু ও অদক্ষ ব্যক্তিদের দূরে রাখা:
কোরবানির সময় কৌতূহলী শিশু বা অভিজ্ঞতা না থাকা ব্যক্তিদের দূরে রাখুন। তাদের উপস্থিতি দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়।
৪. পেশাদার কসাইয়ের সহায়তা:
অভিজ্ঞ কসাই বা দক্ষ কারিগরের মাধ্যমে পশু জবাই ও কাটার কাজ করানোই নিরাপদ। অদক্ষ ব্যক্তির হাতে ছুরি থাকলে ঝুঁকি বহুগুণে বাড়ে।
৫. দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত চিকিৎসা:
যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, যেমন গভীর কাটা বা অতিরিক্ত রক্তপাত হয়, তাহলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে যান। ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
ধর্মীয় এই গুরুত্বপূর্ণ উৎসব আনন্দের সাথে উদযাপন করতে হলে প্রয়োজন সচেতনতা ও সতর্কতা। সামান্য অসাবধানতা বড় বিপদের কারণ হতে পারে। তাই পরিবার, প্রতিবেশী এবং সমাজের সকলকে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানি সম্পন্ন করার আহ্বান জানাচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসচেতনরা।
নুসরাত