ছবি: সংগৃহীত।
বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় শুধু একটি আয়ের উপর নির্ভরশীল থাকা মোটেও নিরাপদ নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি আপনার মাসিক আয় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আপনি কয় মাস চালাতে পারবেন নিজেকে? এক মাস? দুই মাস? এরপর? ঠিক এখানেই আসে "প্যাসিভ ইনকাম" এর গুরুত্ব।
সম্প্রতি এক জনপ্রিয় ভিডিও কনটেন্টে তুলে ধরা হয়েছে এমন তিনটি অ্যাসেট তৈরির কৌশল, যেগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি তৈরি করতে পারলেই আপনি ঘুমিয়ে থাকলেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই তিনটি অ্যাসেটের মাধ্যমে আপনি চাইলে মাসে ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪০ হাজার টাকাও আয় করতে পারেন — তাও কোনো রকম সক্রিয় কাজ না করেই!
চলুন জেনে নেওয়া যাক এই তিনটি প্যাসিভ ইনকাম অ্যাসেট সম্পর্কে—
১. নিজের স্কিলকে অ্যাসেটে রূপান্তর
আপনার নিজের শেখা স্কিলই হতে পারে একটি ইনকামের পথ। যেমন—
- গ্রাফিক ডিজাইন
- ভিডিও এডিটিং
- কন্টেন্ট রাইটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- কোডিং
এই স্কিলগুলো শিখে আপনি অনলাইনে ডিজিটাল পণ্য তৈরি করে সেগুলো বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন। একবার আপনি একটি কার্যকরী প্রোডাক্ট বা প্রমোশন সেটআপ করে ফেললেই, তা নিয়মিত ইনকাম আনতে পারে।
২. ডিজিটাল অ্যাসেট তৈরি
দ্বিতীয় অ্যাসেট হলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিজের উপস্থিতি তৈরি করা। যেমন—
- ইউটিউব চ্যানেল
- ফেসবুক পেজ বা ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট
- নিজস্ব ব্লগ বা ওয়েবসাইট
- ই-বুক বা অনলাইন কোর্স
এগুলো একবার তৈরি করে ফেললে সেগুলো থেকেই দীর্ঘ সময় ধরে আয় আসতে থাকে। বিশেষ করে ইউটিউব ভিডিও একবার ভাইরাল হলে, তার ভিউ থেকে মাসের পর মাস ইনকাম চলতেই থাকে।
৩. ইনভেস্টমেন্ট বেইসড অ্যাসেট
তৃতীয় অ্যাসেটটি একটু বেশি নির্ভর করে মূলধনের উপর। আপনি চাইলে—
- শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ
- মিউচুয়াল ফান্ড
- সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (SIP)
- ভাড়ার জন্য জমি বা বাড়ি
- ইএফটি বা অন্যান্য ডিভিডেন্ড ভিত্তিক ইনভেস্টমেন্ট
এগুলোর মাধ্যমে আপনি কোনোরকম হ্যাপা ছাড়াই নিরবিচারে ইনকাম পেতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, "গরিবেরা চায় বেতন, মধ্যবিত্তরা চায় প্রমোশন, আর ধনীরা চায় অ্যাসেট" — অর্থাৎ, যারা আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে চান, তাদের উচিত এসব অ্যাসেট গড়ে তোলা এবং লাইবিলিটিস কমানো।
আপনি যদি একজন ছাত্র হন, চাকরিজীবী হন কিংবা গৃহিণী— আপনি চাইলে মাত্র ৩ থেকে ৬ মাস একটু মনোযোগ দিয়ে এই তিনটি অ্যাসেটের যেকোনো একটিতে কাজ করে নিজের জন্য একটি প্যাসিভ ইনকাম সোর্স তৈরি করতে পারেন।
আজই ভাবুন— যদি আপনি আগামী এক বছরে এই কাজটি শুরু করেন, তাহলে এক বছর পর হয়ত মাসে ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আপনি ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন— কোনো অফিসে না গিয়েও, কোনো বসের জবাব না দিয়েও।
নুসরাত
