
ছবি: সংগৃহীত।
হিজবুল্লাহর নেতা নাইম কাসেম বলেছেন, প্রয়োজনে ইসরায়েলের সঙ্গে সামরিকভাবে মুখোমুখি হতে তাদের দল সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, চলমান "ইসরায়েলি আগ্রাসন" ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত আঞ্চলিক চাপের কারণে লেবানন একটি "অস্তিত্বগত হুমকি"র মুখোমুখি হয়েছে।
শুক্রবার হিজবুল্লাহর নিহত কমান্ডার আলি আবদুল মোনেম কারাকি (আবু আল-ফাদল)-এর স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন নাইম কাসেম। ২০২৪ সালে ইসরায়েলি হামলায় কারাকি নিহত হন।
স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল আল-মানারকে উদ্ধৃত করে কাসেম বলেন, “আমরা প্রতিরক্ষামূলক সংঘাতের জন্য প্রস্তুত। যদি ইসরায়েল সীমা অতিক্রম করে এবং আগ্রাসন এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে আত্মরক্ষা অপরিহার্য হয়ে পড়ে, তবে আমরা বিজয় বা শাহাদাত – যেটিই আসুক – তার জন্য প্রস্তুত।”
তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলের যেকোনো হুমকির মুখেও আত্মসমর্পণ বা আমাদের অস্ত্র হস্তান্তরের কোনো প্রশ্নই আসে না।”
নাইম কাসেমের ভাষ্য অনুযায়ী, হিজবুল্লাহর এই অবস্থান এমন এক সময় এসেছে, যখন লেবাননের ভূরাজনৈতিক বাস্তবতাকে পুনর্গঠনের জন্য চাপ আরও জোরদার হয়েছে।
তিনি বলেন, “বর্তমানে যে সামরিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করা হয়েছে, তার একমাত্র লক্ষ্য হলো হিজবুল্লাহর কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়ে ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষা করা।”
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়াকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাসেম যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলের লঙ্ঘনসমূহের পৃষ্ঠপোষক বলে অভিযুক্ত করেন এবং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন চুক্তি চাপিয়ে দিতে চায়, যা পূর্বের ইসরায়েলি লঙ্ঘনগুলোকে অগ্রাহ্য করে আবারও হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণের দাবি তোলে।
কাসেম আরও ইসরায়েলের একটি বিস্তৃত আগ্রাসী কর্মসূচির কথাও উল্লেখ করেন, যেখানে তিনি সিরিয়া, গাজা ও বৃহত্তর অঞ্চলে ইসরায়েলের কার্যক্রমের প্রতি ইঙ্গিত দেন।
তিনি বলেন, “ইসরায়েল শুধু দখল করছে না, এটি বিস্তার ঘটাচ্ছে, নিয়ন্ত্রণ করছে এবং নির্দেশ দিচ্ছে।” তিনি যুক্তি দেন যে, হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণ লেবাননের উপর “ইসরায়েলি-আমেরিকান আধিপত্য” প্রতিষ্ঠার পথে শেষ বাধা সরিয়ে দেবে।
সূত্র: siasat.com
মিরাজ খান