ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মালচিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন সবজি চাষ করে সফল বাবা-ছেলে

সাইদুল ইসলাম, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, কসবা-আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

প্রকাশিত: ২০:৩২, ৩১ মে ২০২৫

মালচিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন সবজি চাষ করে সফল বাবা-ছেলে

মালচিং পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদন করে সফল হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার আড়াইবাড়ী গ্রামের বাবা আনিসুর রহমান ও তাঁর অনার্স পড়ুয়া ছেলে ইমন কবির। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কৃষি অফিসের পরামর্শে ২ একর জমি বর্গা নিয়ে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের টমেটো, শসা, কাঁচা মরিচ ও বেগুন চাষ করে ইতিমধ্যে সফলতা অর্জন করেছেন তারা। বর্তমানে তাদের জমির সবজি স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। প্রতিদিনই কয়েকমন সবজি হারভেস্ট হচ্ছে তাদের জমি থেকে।

সর্বমোট ২ থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ হলেও ইতোমধ্যে ৫ লক্ষ টাকা আয় করেছেন এবং এভাবে চলতে থাকলে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা বিক্রির আশা করছেন কৃষক আনিসুর রহমান।

বাবার কাছ থেকেই ছোট থেকে সবজি চাষ শিখেছেন ছেলে ইমন কবির। তিনি জানান, মূলত ক্রেতাদের টার্গেট করে উচ্চ ফলনশীল জাতের টমেটো, শসা, কাঁচা মরিচ ও বেগুন চাষ করেছেন তারা। গত ডিসেম্বর মাসে চারা রোপণ করে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকেই হারভেস্ট শুরু করেছেন। এছাড়াও পুরো বছরই নিজস্ব জমিতে চারা ও বীজ থেকে সবজি উৎপাদন করে আসছেন বাবা-ছেলে।

বর্তমানে বাবা-ছেলের এই জমিতে কাজ করে নিজেদের ও পরিবারের ভরণ-পোষণ যোগাচ্ছেন ৪ থেকে ৫ জন শ্রমিক, যারা প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছেন।

মালচিং পদ্ধতি ব্যবহারে খরচ কম ও উৎপাদন বেশি হয়, তাই কৃষকদের এ পদ্ধতিতে চাষাবাদে উৎসাহিত করছে উপজেলা কৃষি অফিস। পাশাপাশি সবজি চাষে পোকা নিধনের জন্য ইয়েলো ট্র্যাপ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

বাবা আনিসুর রহমান বলেন, "বাজারের ক্রেতাদের টার্গেট করে উচ্চ ফলনশীল টমেটো, শসা, কাঁচা মরিচ ও বেগুনের চাষ করেছি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাভ পাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারব।"

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: আল আমিন বলেন, "মালচিং পদ্ধতি বর্তমানে একটি জনপ্রিয় চাষ পদ্ধতি। মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করলে পোকামাকড়ের উপদ্রব কম থাকে, ফলে কীটনাশকের পরিমাণ কম লাগে। কৃষক আনিসুর রহমানের জমিতে ইয়েলো ট্র্যাপ ব্যবহার করায় পোকা দমনে কার্যকর সমাধান পেয়েছে তারা। কৃষি অফিস থেকে সবসময় তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তা, সার ও বীজ দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে।"

সঠিক পরিচর্যা ও লক্ষ্যমাত্রা থাকলে সফল হওয়া সম্ভব জানিয়ে সফল চাষি আনিসুর রহমান আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও কৃষি সহায়তার মাধ্যমে বড় পর্যায়ে চাষাবাদ করবেন তিনি।

রাজু

×