ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ১দিনের ট্যুরেই ঘুরে আসুন চীনামাটির পাহাড়

শহীদুল ইসলাম রুবেল, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার,নেত্রকোনা 

প্রকাশিত: ২০:২৯, ৩১ মে ২০২৫

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ১দিনের ট্যুরেই ঘুরে আসুন চীনামাটির পাহাড়

ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের জেলা নেত্রকোনা। মগরা, কংস ও সোমেশ্বরী নদী পরিবেষ্টিত এই জেলা দেখতে অনেকটা চোখ বা নেত্রের মতো। তাই সোজাসাপ্টা নাম নেত্রকোনা। রাজধানী থেকে গাজীপুর, ময়মনসিংহ জেলা মাড়িয়ে পৌঁছাতে হয় সীমান্তবর্তী জেলা নেত্রকোনায়। সেখানেই আছে চীনা মাটির পাহাড়। পাহাড় বলা হলেও এগুলো মূলত ছোট ছোট টিলা। নেত্রকোণা জেলার বিরিশিরি অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। সেখানকার বিজয়পুর সাদা মাটির জন্য খ্যাত। দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর ও এর আশপাশের এলাকায় আছে চিনামাটির খনি। চিনামাটির এসব টিলা বা পাহাড় দেখতে খুবই মনমুগ্ধকর। লাল, সাদা, নীলাভসহ বাহারি সেখানকার মাটির রং।

চিনামাটি মূলত সিরামিক শিল্পের কাঁচামাল। এটি একদিকে যেমন দর্শনীয় স্থান, পাশাপাশি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কোলঘেঁষা সীমান্তবর্তী এলাকা। চিনামাটির পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে সেখানে ভিড় জমায় পর্যটকরা। চাইলে একদিনের ট্যুরেও আপনি ঘুরে আসতে পারেন দর্শনীয় এই স্থানে। এখানেই আছে নীল জলের সোমেশ্বরী নদী। নীচে নীল পানির সোমেশ্বরী নদী আর ঠিক ওপারে ভারতের বড় বড় পাহাড়। এমন একটি দৃশ্য যে কোনো প্রকৃতি প্রেমীর মন ভুলিয়ে দিতে যথেষ্ট।


ছোট বড় টিলা, পাহাড় ও সমতল ভূমি জুড়ে প্রায় সাড়ে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৬০০ মিটার প্রস্থ এই খনিজ অঞ্চল। পর্যটকরা মুগ্ধ হয়ে সেখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করে থাকেন। সোমেশ্বরী নদী পার হয়ে রিকিশা বা মোটরসাইকেলে কাঁচা-পাকা রাস্তা দিয়ে বিজয়পুরের সাদামাটি অঞ্চলে যাওয়া যায়।

চিনামাটির পাহাড় আর সোমেশ্বরী নদীর সৌন্দর্য ছাড়াও বিরিশিরিতে আরও কয়েকটি দর্শনীয় স্থান আছে।পাহাড়ি কালচারাল একাডেমি, তেভাগা আন্দোলনের কিংবদন্তি কমরেড মনি সিংহের স্মৃতিভাস্কর, সেন্ট যোসেফের গির্জা,কমলা রানী দীঘি।এছাড়া দূর্গাপুর থেকে ৬ কিলোমিটার উত্তর সীমান্তে পাহাড়ের চুড়ায় রানীখং গীর্জা অবস্থিত। এই পাহাড় চূড়া থেকে বিরিশিরির সৌন্দর্য সবটুকু উপভোগ করা যায়।এছাড়া ও একদিনের ট্যুরে গারোপাহাড়সহ আরও কয়েকটি দর্শনীয় স্থান উপজাতীয় কালচারাল একাডেমি, রাণীখং চার্চ, গারো পল্লী, কমলা বাগান ও ঘোরা হয়ে যাবে। 

আঁখি

×