
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে খাগড়াছড়িতে থেমে থেমে চলছে মাঝাড়ি মাত্রার বর্ষণ। এতে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কার। দুর্যোগ মোকাবেলায় নেয়া হয়েছে প্রস্তুতি। সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিতে সচেতনতামূলক মাইকিং মাধ্যমে প্রজচারণা চালাচ্ছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকালে খাগড়াছড়িঅতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ’র নেতৃত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের বাড়ীতে গিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে অনুরোধ করেন। সে সাথে জেলা প্রশসন উদ্যোগে খাগড়াছড়ি শহরের সবুজ বাগ, কুমিল্লা টিলা, শালবন মোহাম্মদ পুর, শালবান শাপলা মোরসহ পাহাড় ধসের সম্ভাবনা এলাকায় সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। এদিকে পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধ ভাবে বসতি স্থাপনকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার গ্রহনের পাশাপাশির, এই দুর্যোগে যাতে একটিও প্রাণহানীর না ঘটে সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার কথা জানান জেলা প্রশাসক এবি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার ।
খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় ৩ সহ¯্রাধিক পরিবার। সে সাথে থামছে না পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন। প্রতি বছর বর্ষা এলেই প্রশাসন নড়েচড়ে বসলেও সারা বছর পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন নিয়ে প্রশাসন নির্বিকার থাকেন এমন অভিযোগ রয়েছে। ফলে এ বর্ষা মৌসুসে খাগড়াছড়িতে আবারও পাহাড় ধসে জানমালের ক্ষতির শংকা প্রবল হয়ে উঠেছে।এদিকে খাগড়াছড়ি পৌর শহরে থেমে থেমে ভারী বর্ষনের কারনে স্থানীয় প্রশাসন পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ গ্রহন করেছে । ইতিমধ্যে পাহাড় ধস প্রবন এলাকায় চলছে সচেতনতা মূলক প্রচারণা। যেখানে যোগ দিয়েছেন জেলার শীর্ষকর্তারা। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও প্রস্তাবিত আশ্রয় কেন্দ্র সমূহ করছেন পরিদর্শন। ভারী বর্ষণ শুরু হলে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে বাসিন্দাদের।
খাগড়াছড়ি জেলায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় ৩ সহস্রাধিক পরিবার। বর্ষা মৌসুম আসায় পাহাড়ে বসবাসকারী এ সব পরিবারের মাঝে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। খাগড়াছড়ি শহরের বিশেষ করে শহরের কলাবাগান,নেন্সিবাজার,মোল্লাাপাড়া, কৈবল্যপিঠ,আঠারো পরিবার,শালবন ও মোহাম্মদপুরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এভাবে পাহাড়ের ঢালে ঢালে এইভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে সহ¯্রাধিক পরিবার। এদিকে বৃহস্পতিবার(২৯ মে) বিকালে খাগড়াছড়িঅতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ’র নেতৃত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের বাড়ীতে গিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে অনুরোধ করেন। সে সাথে জেলা প্রশসন উদ্যোগে খাগড়াছড়ি শহরের সবুজ বাগ, কুমিল্লা টিলা, শালবন মোহাম্মদ পুর, শালবান শাপলা মোরসহ পাহাড় ধসের সম্ভাবনা এলাকায় সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। এদিকে শহরের বেশ কয়েকটি স্পটে পাহাড় কেটে বা পাহাড়ের পাদদেশে অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর নির্মাণ বেড়েই চললেও পাহাড় কেটে বাড়িঘর নির্মাণ বন্ধে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। অপর দিকে পাহাড়ে পাদদেশে বসবাসকারীরা বলছে, থাকার জায়গা না জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে তারা পাহাড়ের পাদদেশে বাস করতে বাধ্য হচ্ছে। সরকার পুনর্বাসনের উদ্যোগে নিলে সরে যেতে রাজি তারা।
পরিবেশ কর্মী সাংবাদিক এডভোকেট জসিম উদ্দিন মজুমদার জানান পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের অন্যত্র পুনর্বাসনের উদ্যোগ না নিলে ভয়াবহ প্রাণহানির আশংকা রয়েছে । খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান সম্মিলিত উদ্যোগে পাহাড়ে পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাসকারীদের পুনর্বাসনে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে পৌর এলাকায় ৩০ টি ঝুঁকি পূর্ণ স্থানে ৩ হাজার ৫ শত পরিবার সহ পুরো জেলায় ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় ৩৫ হাজার পরিবার পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে রয়েছে ।বর্ষা মৌসুম আসায় পাহাড়ে বসবাসকারী এ সব পরিবারের মাঝে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা।
আঁখি