
ছবিঃ সংগৃহীত
জুলাই আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন।
প্রসিকিউটর গাজী তামিম জানিয়েছেন, পবিত্র ঈদুল আযহার আগেই এই মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হবে। যদিও বিচার কত দিনের মধ্যে শেষ হবে—সেই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এড়িয়ে গেছেন তিনি।
কি অভিযোগ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে?
প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের “রাজাকারে বাচ্চা” বলার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উসকে দেন। এ ঘটনায় ডিজিটাল ভিডিও প্রমাণ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হবে।
দ্বিতীয় অভিযোগে সরাসরি নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে।
প্রমাণ হিসেবে দুইটি অডিও রেকর্ড এবং জুলাই-আগস্টের সহিংস ঘটনার ভিডিও ফুটেজ উপস্থাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বিচারিক প্রক্রিয়ায় কী কী হবে?
প্রসিকিউটর জানিয়েছেন,
১. প্রথমে তিন আসামিকে হাজিরের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে
২. হাজির না হলে তাদের ‘পলাতক’ ঘোষণা করা হবে
৩. পলাতক আসামিদের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আইনজীবী নিয়োগ করা হবে
৪. অভিযোগ গঠনের শুনানি, এরপর
৫. সাক্ষ্য গ্রহণ, জেরা ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন, এবং
৬. রায় ঘোষণা
কবে শেষ হবে বিচার?
বিচার কতদিনে শেষ হবে, তা নিয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক সময়সীমা ঘোষণা করা হয়নি। তবে সংবিধান ও আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আইনের আলোকে এ ধরনের মামলা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কয়েক মাস সময় লাগে, বিশেষ করে যদি আসামিরা পলাতক থাকেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সামাজিক মাধ্যমে ইঙ্গিত দিয়েছেন—এই বিচার অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই শেষ হবে।
প্রেক্ষাপট: জুলাই আন্দোলন ও মানবতা বিরোধী অপরাধ
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাইয়ের সহিংস আন্দোলনে শেখ হাসিনার বক্তব্য ও আচরণ বিভিন্ন সংস্থাকে প্রভাবিত করেছিল। আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং বেসামরিক প্রাণহানি এই মামলার মূল প্রেক্ষাপট।
ইমরান