ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ

এইভাবে সংস্কারের নামে কলা দেখাচ্ছেন!

প্রকাশিত: ২২:৪২, ৩১ মে ২০২৫; আপডেট: ২২:৪৩, ৩১ মে ২০২৫

এইভাবে সংস্কারের নামে কলা দেখাচ্ছেন!

ছ‌বি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়াকে ‘সংস্কারের নামে কলা দেখানো’ বলে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, “এইভাবে আপনারা আমাদেরকে সংস্কারের কলা দেখাচ্ছেন। আসর করেছেন আপনারা যে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন দেবেন, অথচ এখনো পরিষ্কার করে কিছু বলছেন না। ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন দিতে হবে— এটাই বাংলাদেশের মানুষের দাবি।”

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, "সংবিধানে যেসব সংস্কার চান, সেগুলো জাতিকে মেনে নিতে বাধ্য করতে চাইছেন। এই অহংকার ও একচেটিয়া মনোভাব কেন লালন করেন আপনারা?"

তিনি এনসিসি (ন্যাশনাল কনস্টিটিউশনাল কাউন্সিল) প্রসঙ্গে বলেন, “এই এনসিসি একটি অনির্বাচিত প্রতিষ্ঠান। সংসদ না থাকার সময় তারা রাষ্ট্রের সমস্ত অঙ্গের ওপর কর্তৃত্ব চালাবে— এমন প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। প্রেসিডেন্ট ছাড়া বাকিরা নির্বাচিত নন, অথচ তাদের হাতে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ তুলে দিতে বলা হচ্ছে। এটা তো একধরনের আধা-স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা।”

তিনি অভিযোগ করেন, “সংস্কারের নামে এমন কিছু অভিনব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যেন আমাদের বাধ্যতামূলকভাবে একমত হতে হবে। যদি এইভাবে চাপ দিয়ে একমত হতে বাধ্য করা হয়, তবে এটি তো বাকশালের মতো অবস্থা হয়ে যায়।”

বিএনপি নেতা বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে লিখিত আকারে জানিয়েছি, কোন কোন বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছি, আর কোন কোন বিষয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে। অথচ সরকার আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে যাচ্ছেন, ফলাফল শূন্য। ২ তারিখে আবার বৈঠক ডাকা হয়েছে— এই আলোচনার কতবার উদ্বোধন করবেন আপনারা?”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের প্রধানতম এজেন্ডা হচ্ছে নির্বাচন ও মানবতাবিরোধীদের বিচার। কিন্তু জনগণকে যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, সেটি থেকে সরে এসেছেন প্রধান উপদেষ্টা। এখন বলা হচ্ছে জুন পর্যন্ত সময় নিতে হবে। কেন? একটিও যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেননি।”

সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়াকে চলমান বলে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “যেই সরকার আসুক, তারা সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা করে বিচার কার্য পরিচালিত হবে। কিন্তু নির্বাচন পেছানোর কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন দিতে হবে— এটাই জাতির দাবি।”


ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=CrfvCrXutN8

মেহেদী

আরো পড়ুন  

×