
ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দলটির নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে দলীয় প্রতীক হিসেবে 'দাঁড়িপাল্লা' ফিরে পাওয়ার বিষয়ে এখনো রয়েছে অনিশ্চয়তা।
২০১৩ সালে হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়। যদিও দলটি পরে আপিল করে। এদিকে ২০১৬ সালে নির্বাচন কমিশনের ফুল কোর্ট সভার এক সিদ্ধান্তে দলটির বহুদিনের ব্যবহৃত প্রতীক 'দাঁড়িপাল্লা' বাদ দেওয়া হয়। তবে সেটি ছিল প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, আদালতের কোনো রায় নয়।
এ প্রেক্ষাপটে জামায়াতের পক্ষ থেকে নিবন্ধন ফিরে পেতে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি প্রতীক ফিরে পেতে আলাদা একটি আবেদনও করা হয়। আজ (১ জুন) আপিল বিভাগ শুধু নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে প্রতীক ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের ওপর।
নির্বাচন কমিশনের একাধিক সূত্র জানায়, বর্তমানে ইসির তালিকাভুক্ত নির্বাচনী প্রতীকগুলোর মধ্যে 'দাঁড়িপাল্লা' নেই। তাই এটি ফিরিয়ে দিতে হলে কমিশনকে সংশ্লিষ্ট বিধিমালায় সংশোধনী আনতে হবে। এরপর সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিং করে গেজেট আকারে প্রকাশের প্রয়োজন হবে, যা সময়সাপেক্ষ একটি প্রক্রিয়া।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দাঁড়িপাল্লা নিয়ে জামায়াতের সংকট নতুন নয়। ১৯৮৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগেও প্রতীক সংক্রান্ত প্রশ্ন উঠেছিল, তবে তা তখন আদালত পর্যন্ত গড়ায়নি।
ফলে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে,জামায়াত তাদের নিবন্ধন তো ফিরে পেল, তবে তারা কি ফিরিয়ে পাবে সেই বহু আলোচিত প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’? নির্বাচন কমিশনের পরবর্তী সিদ্ধান্তই এখন সেই প্রশ্নের উত্তর দেবে।
আলীম