
ছবি: জনকণ্ঠ
সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু ভাগ্য পরিবর্তন হয় না কক্সবাজার জেলার চকরিয়া পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কোচপাড়াবাসীর। বর্ষা মৌসুম আসা মানেই তাদের জন্য অভিশাপ।
পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কোচপাড়ার প্রায় ৩০০ মানুষের বসতবাড়ি এখন মাতামুহুরি নদীর ভাঙ্গনের মুখে। মাতামুহুরি নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রবল স্রোতে প্রতিনিয়ত গ্রাস করছে নদীর পার ঘেষা জনপদকে৷
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ অবৈধভাবে বালি উত্তোলন এই ভাঙ্গনের প্রধান কারণ। তারা বলেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি।
স্থানীয়রা জানান প্রতিবছর ভাঙ্গনের সময় প্রশাসনের লোক এসে আশ্বাস দিয়ে যায় টেকসই বেড়িবাঁধ হবে, কিন্তু এরপর আর কেউ খবর নেয় না।
ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠী বলছে মুড়ি, কলার সাহায্য নয় আমরা টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন দ্রুত ভাঙ্গন রোধে প্রকৌশলগত সমাধান ছাড়া এ সংকট আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে জানালেও দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি। অতিবিলম্বে ভাঙ্গনকবলিত এলাকাটিতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা খায়রুল হাসান জানান, কোচপাড়া বাসী অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে অসহ্য হয়ে পড়েছে। সারারাত ঘুমাতে পারে না ড্রেজিং মেশিনের আওয়াজে, বালু উত্তোলন বন্ধ এবং মাতামুহুরী নদীর পাশে বেড়িবাঁধ দাবিতে একাধিক মানববন্ধন করার পরও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের টনক নড়েনি।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুর রহমান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দাদের ইতিমধ্যে আমরা মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসছি। সেই সাথে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন মাতামুহুরি নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত দুই মহাল বন্ধ করে দিছি। তিনি আরও জানান এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আবির