
ছবি: জনকণ্ঠ
বাগেরহাটের রামপালে তীব্র নদী ভাঙনের কবলে পড়া তিন গ্রামের শত শত মানুষ টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। বুধবার (৪ জুন) দুপুরে উপজেলার রোমজাইপুর গ্রামের পূর্ব পাড়ায় ভাঙনকবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নারী-পুরুষসহ এলাকাবাসী এ মানববন্ধনে অংশ নেন। তারা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা-সহ সংশ্লিষ্ট সকলের দ্রুত হস্তক্ষেপে গ্রাম রক্ষাবাঁধের দাবি জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মৃতপ্রায় মোংলা-ঘোষিয়াখালী চ্যানেলটি খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হয়। তবে খননের সময় নকশা অনুযায়ী না করে ত্রুটিপূর্ণভাবে নদীটি আঁকাবাঁকা অবস্থায় খনন করা হয়েছে। এছাড়াও নদী খননে ডিডিপি’র নকশা অনুসরণ করা হয়নি।
রোমজাইপুর গ্রামের উত্তর পাশ দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে একটি ‘লুপ কাট’ দিয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটারের একটি দীর্ঘ বাঁক তৈরি করে নদী সোজা করা হয়েছে। বক্তারা বলেন, যদি এই ‘লুপ কাট’ রোমজাইপুরের দক্ষিণ পাশ দিয়ে করা হতো, তাহলে রোমজাইপুর, সিংগড়বুনিয়া ও পুটিমারী গ্রাম নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেত।
বক্তারা আরও দাবি করেন, বিগত সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন মন্ত্রী শাজাহান খান, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আ. খালেকের ব্যাপক লুটপাটের কারণেই চ্যানেলটি ত্রুটিপূর্ণভাবে খনন করা হয়েছে। তারা এই অনিয়মের তদন্ত ও অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই জরুরি মেরামত ও দীর্ঘমেয়াদি গ্রাম রক্ষাবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)'র খুলনা বিভাগীয় নেটওয়ার্ক সদস্য এম. এ. সবুর রানা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাগেরহাট জেলা নেতা ফাত্তাইন নাইম, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রেনা বেগম হেনা, পরিবেশবিদ এম. জে মাহফুজ, মো. ফিরোজ, তুহিন মোল্লা, সন্ধ্যা রানী গাইন প্রমুখ।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি সুমনা ভাঙনকবলিত স্থান পরিদর্শন করে জানান, সরকারের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
শহীদ