ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নবীনগরে বড় গরুতে দর্শনার্থী বেশি, ছোট গরুতে মিলছে ক্রেতা।

কাউছার আলম, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

প্রকাশিত: ০১:২৮, ৫ জুন ২০২৫

নবীনগরে বড় গরুতে দর্শনার্থী বেশি, ছোট গরুতে মিলছে ক্রেতা।

ছবি: জনকন্ঠ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে গরু-ছাগল নিয়ে ব্যাপারীরা আসছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের পশুর হাটগুলোতে। শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে বেচাকেনাও। ক্রেতার সাথে তাল মিলিয়ে দর্শনার্থীদেরও দেখা মিলছে পশুর হাটগুলোতে। তবে বড় গরুর চেয়ে ছোট গরুতে নজর বেশি অধিকাংশ ক্রেতাদের।

বুধবার (৪ জুন) নবীনগর উপজেলার বাঙ্গরা, ভোলাচং, শিবপুর পশুর হাটে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি হাটের আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ট্রাক, পিকআপ ভরে আসছে কোরবানির পশু। কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে হাটের প্রধান ফটক সাজানো হয়েছে। হাসিল ঘরও প্রস্তুত হাসিল আদায় করার জন্য। সড়কে যেমন তৎপর পুলিশ, তেমনি হাটেও তৎপর হাটের ভলান্টিয়াররা। সড়কে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না কোরবানির পশুবাহী কোনো যানবাহন।

বড় ও দামি গরুর সামনে দর্শনার্থীদের ভিড়, তবে ছোট গরুর ক্ষেত্রে ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন গরু ব্যবসায়ীরা।রেজাউল করিম হীরা নামে এক ক্রেতা বলেন, "হাটে আসছি গরু কিনতে। একটি গরু পছন্দ হয়েছে, এখন দামদর চলছে বিক্রেতার সাথে। দাম মিললেই গরুটা নিয়ে নিবো। হাটের সার্বিক ব্যবস্থাপনাও বেশ ভাল।"

বেশ কয়েকজন ক্রেতা বলেন, এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় হাটগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি ও পশুর দাম বেশ ভাল। ছোট ও মাঝারি গরুর চেয়ে বড় গরুগুলার দাম অনেকটাই কম মনে হচ্ছে। সব মিলিয়ে আমরা বেশ সন্তুষ্ট।

বিক্রেতারা জানান, বৃষ্টিবিঘ্নিত আবহাওয়ার কারণে এতদিন ক্রেতা সমাগম কম ছিল। তবে ঈদের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে এখন পশু বিক্রি বেড়েছে। তবে বড় গরুর তুলনায় বেশি বিক্রি হচ্ছে ছোট গরু। সে কারণে বড় গরুতে আমাদের এবার লোকসান গুনতে হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী জনকণ্ঠ প্রতিবেদককে জানান, "নবীনগরে আমাদের অস্থায়ীভাবে এবার ১৩টি কোরবানির পশুর বাজারের অনুমোদন আছে। এর বাহিরে যদি কোন অন্য কোন জায়গায় কোরবানির পশুর বাজার আয়োজন করা হয়, আমরা সাথে সাথে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। "

Mily

×