
ছবি: সংগৃহীত
সিরিয়ার ভূমি ব্যবহার করে এক বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইসরাইলকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হলো। গোলান হাইটসে আঘাত হানে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র। ইসরাইল এর জন্য দায়ী করছে অন্তর্বর্তীকালীন সিরীয় প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল সারাহকে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর এই প্রথম ইসরাইলকে লক্ষ্য করে সিরিয়া থেকে রকেট ছোড়া হলো। ইসরাইল জানিয়েছে, গোলান হাইটসের হিসপিন ও রামাত মাক্সিমিম এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে এবং দুটি রকেট খোলা এলাকায় আছড়ে পড়ে। হামলার উৎস ছিল দক্ষিণ সিরিয়ার তাহসিল এলাকা, যেখান থেকে এর আগেও হামলার ইতিহাস রয়েছে।
তবে এই হামলার দায় অস্বীকার করেছেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল সারাহ। তিনি বলেছেন, সিরিয়ার মাটিকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়নি।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কার্স কঠোর প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, “সিরিয়ার আহমেদ আল সারাহ সরকারের বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।”
এই হামলার ২০ মিনিটের মাথায় ইয়েমেন থেকেও নতুন করে মিসাইল হামলা হয় ইসরাইলে। তিন দিনের মধ্যে এটি ইয়েমেনের যোদ্ধাদের তৃতীয় দফার হামলা। ফলে একইসাথে সিরিয়া ও ইয়েমেন দুই ফ্রন্টে সক্রিয় হয়েছে ইসরাইলবিরোধী শক্তিগুলো।
ইসরাইলও এর পাল্টা জবাব দিয়েছে। সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে একটি অস্ত্রভাণ্ডারে চালানো হয় ব্যাপক বিমান হামলা। সিরিয়ার দাবি, এতে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং বিপুল সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। তবে হতাহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা এখনও প্রকাশ হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বিদ্রোহী বাহিনীর এক অভিযানে ক্ষমতাচ্যুত হন বাশার আল আসাদ। এরপর থেকেই সিরিয়ায় ইসরাইলের হামলার মাত্রা বেড়ে যায়।
সারাহ সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলের এই হামলা সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন এবং এটি পুরো অঞ্চলের উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে। সিরিয়া কখনো হুমকি ছিল না, ভবিষ্যতেও হবে না।
এদিকে, পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধের পরিধি আরও বিস্তৃত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে আন্তর্জাতিক মহল।
ফরিদ