ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৪ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কলাপাড়ায় তিন স্থানে

ধসে গেছে জরুরি সুরক্ষা দেওয়া বেড়িবাঁধ, প্লাবন আতঙ্কে ১১ গ্রামের কৃষক

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ০৯:৪১, ২ জুন ২০২৫

ধসে গেছে জরুরি সুরক্ষা দেওয়া বেড়িবাঁধ, প্লাবন আতঙ্কে ১১ গ্রামের কৃষক

ছবিঃ জনকণ্ঠ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের তীব্র ঝাপটায় ধানখালীর লোন্দা হাফেজ প্যাদা বাজার সংলগ্ন বেড়িবাঁধের রিভার সাইটের প্রটেকশন দেওয়া জিও ব্যাগ ধসে গেছে। প্রায় ১০০ ফুট এলাকাজুড়ে টিয়াখালী নদীতে ধসে গেছে বাঁধের রিভার সাইট। একটি স্লুইসসহ মূল বাঁধ এখন ঝুঁকিতে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫৪ নম্বর পোল্ডারের ওই বাঁধটি মেরামত না করলে বাঁধ ধসে তিন গ্রামের গোটা এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় বাসীন্দা অ্যাডভোকেট মো. হালিম প্যাদা জানান, এখানে ব্লক দিয়ে প্রটেকশন দেওয়া জরুরি। 

একই দশায় পাঁচ মাস আগে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে রাবনাবাদ পাড়ের চম্পাপুরের করমজাতলা এলাকার বাঁধের। জিওব্যাগ জিও টিউব ধসে মূলবাঁধের দুই তৃতীয়াংশ ধসে গেছে। রিভারসাইট নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। কান্ট্রি সাইট আছে চরম ঝুঁকিতে। ওখানকার ৫৪/এ পোল্ডারের ১৩ দশমিক শূন্য পয়েন্ট থেকে ১৪ দশমিক ১২০ তম কিলোমিটার পর্যন্ত ১১২০ মিটার বেড়িবাঁধের জরুরি প্রটেকশন কোন কাজে আসছে না। এখন দুই গ্রামসহ গোটা এলাকা প্লাবনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় রাসেল ফকির জানান, জরুরি ভিত্তিতে এখানে প্রটেকশন দেওয়া দরকার। নাহলে গোটা এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। 

নীলগঞ্জের গৈয়াতলা এলাকায় বেড়িবাঁধের রিভার সাইট জলোচ্ছ্বাসে এক তৃতীয়াংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। গোটা এলাকার কৃষক রয়েছে চরম আতঙ্কের মধ্যে। পানি উন্নয়ন বোর্ড চলতি অর্থ বছরে এ বাঁধটি মেরামত করে। কিন্তু বৃহস্পতিবারের অস্বাভাবিক জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসে বাঁধটি আবার বিধ্বস্ত হয়। জরুরিভাবে সংস্কার করা না হলে পুরো বাঁধ বিধ্বস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ক্ষতির সম্মুখীন হবে সবজি পল্লী, মাছের খামার, গবাদি পশু, কৃষি জমিসহ ঘর বাড়ি। উত্তর গৈয়াতলা, পূর্ব গৈয়াতলা, পূর্ব সোনাতলা, মোস্তফাপুর, মোহাম্মদপুর ও তাহেরপুরের বাসিন্দারা একারণে ভয়াবহ আতঙ্কে রয়েছেন। এসব এলাকার মানুষ চাষাবাদেও স্বার্থে বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের দাবি করেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহআলম জানান, তিনি খোঁজখবর নিয়েছেন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন। তবে করমজাতলার ওই জায়গাটা ক্রিটিক্যাল। ভেতরে জায়গা নেই। মাটি ও প্রয়োজনীয় জায়গা পাওয়া গেলে ওখানটায় স্থায়ী প্রটেকশনের জন্য বিকল্প বেড়িবাঁধ করতে হবে। নইলে ভাঙন স্থয়ীভাবে রোধ করা সম্ভব নয়। এবারের জলোচ্ছ্বাসে কী পরিমান বাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে তা পরিমাপ করছেন বলেও জানান।

আবির

×