
নীলফামারীতে একজন আইনজীবীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় আইনজীবীরা পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এতে করে ডিসি মোড় থেকে সার্কিট হাউজ রোড পর্যন্ত সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্ট যানজটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে আসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরবর্তীতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়, এবং তাদের কার্যকর হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
জানা যায়, সম্প্রতি ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় আইনজীবী আসাদুজ্জামান আসাদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে নীলফামারী আইনজীবী সমিতির সদস্যরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, এই গ্রেপ্তার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এর পেছনে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। তাঁরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং একে আইনের শাসনের পরিপন্থী বলে আখ্যা দেন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে শত শত আইনজীবী আদালত প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। “অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে”, “আইনের শাসন চাই” প্রভৃতি স্লোগানে মিছিলটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে এসে অবস্থান নেয় এবং সেখানেই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে।
আইনজীবীদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে ডিসি মোড় থেকে সার্কিট হাউজ রোড পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে পথচারী, রোগী পরিবহন ও পরিবহন শ্রমিকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। দীর্ঘ যানজটে জনজীবনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।
পরিস্থিতি অবনতির দিকে গেলে স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইনজীবীদের সঙ্গে সংলাপের পাশাপাশি জনসাধারণের চলাচলের পথ নিশ্চিত করেন। তাদের হস্তক্ষেপে যান চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে নীলফামারী জেলার পুলিশ সুপার এ.এফ.এম. তারিক হোসেন খান বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আইনজীবী সমিতির দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে ইতোমধ্যে বৈঠক হয়েছে। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।”
তবে, আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, যদি গ্রেপ্তারকৃত আইনজীবীকে নিঃশর্ত মুক্তি না দেওয়া হয় এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নীলফামারীর বিচারাঙ্গনে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
রিফাত