ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সেন্টমার্টিন নয়, এবার পর্যটকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিচ্ছে ‘চর বিজয়’

সোহাইব মাকসুদ নুরনবী, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ০০:২৬, ৪ জুন ২০২৫; আপডেট: ০০:২৯, ৪ জুন ২০২৫

সেন্টমার্টিন নয়, এবার পর্যটকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিচ্ছে ‘চর বিজয়’

বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে জেগে ওঠা এক নান্দনিক দ্বীপ, নাম ‘চর বিজয়’। নীল জলরাশি, বালুময় তটরেখা, শতশত লাল কাঁকড়া আর অতিথি পাখির মনভোলানো কলতানে এখানে তৈরি হয়েছে এক স্বপ্নরাজ্য। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এ চরের সৌন্দর্য্য এখন পর্যটকদের নতুন গন্তব্য।

চরের মাটি জুড়ে লাল কাঁকড়ার দল আপনাকে স্বাগত জানাবে এক বিশাল লাল গালিচা বিছিয়ে। আর নীল সমুদ্রজলে ভেসে বেড়ানো পরিযায়ী পাখিরা যেন নেমেছে স্বর্গ থেকে আপনাকে বরণ করে নিতে। এ যেন সত্যিই এক নিঃশব্দ, নিরিবিলি, নির্মল রূপকথার রাজ্য!

২০২২ সালের ডিসেম্বর, বিজয়ের মাসে আবিষ্কৃত হওয়ার কারণে এ চরের নামকরণ হয় ‘চর বিজয়’। বর্ষায় চরটি পানির নিচে থাকলেও শীত ও গ্রীষ্মকালে এটি পুরোপুরি দৃশ্যমান থাকে এবং পর্যটকদের জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে।

ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় এসে ট্রলার বা স্পিডবোটে মাত্র দেড় ঘণ্টার পথ পাড়ি দিলেই পৌঁছে যাবেন চর বিজয়ে। এখানে না এলে কুয়াকাটা ভ্রমণ যেন অসম্পূর্ণই থেকে যায়!

প্রকৃতির এই অপূর্ব রূপমাধুর্যে দেখা মেলে গাঙচিল, চ্যাগা, বালিহাঁসসহ বিভিন্ন জাতের অতিথি পাখির। আর সবচেয়ে বিস্ময়কর হলো—একই স্থানে দাঁড়িয়ে আপনি উপভোগ করতে পারবেন সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।

চর জুড়ে নেই কোনো ঘরবাড়ি, নেই বাজার কিংবা কোলাহল। আছে শুধু শান্ত সমুদ্র, নীল আকাশ, লাল কাঁকড়া আর পাখির রাজত্ব। এখানে এসে যে কেউ হারিয়ে যেতে পারে প্রকৃতির বিশুদ্ধতায়।

কুয়াকাটায় বেড়াতে এলে অবশ্যই সময় বের করে ঘুরে আসুন চর বিজয়। কারণ, লাল কাঁকড়া আর অতিথি পাখির এই রাজত্বে আপনি হবেন একদিনের রাজা!

মিমিয়া

×