ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টা ও এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে বিমা

ঈদুল আজহার ছুটিতে বন্দর চার্জ মওকুফের দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:২৯, ৩১ মে ২০২৫

ঈদুল আজহার ছুটিতে বন্দর চার্জ মওকুফের দাবি

ঈদুল আজহার ছুটির সময় বন্দরের ডেমারেজ চার্জ মওকুফ করার দাবি

আসন্ন ঈদুল আজহার সরকারি ১০ দিনের ছুটির সময় বন্দরের ডেমারেজ চার্জ মওকুফ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল মার্চেন্ডাইস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিইএমএমএ-বিমা)। সংগঠনটির পক্ষ থেকে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান (এনবিআর) আব্দুর রহমান খান বরাবর চিঠি দেওয়া হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর লেখা ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে-কোরবানি ঈদের সময় দশদিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ছুটির সময় সাধারণত বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় না।

ফলে পণ্য লোড-আনলোড এবং আমদানিকৃত পণ্য খালাস হওয়ার সুযোগ থাকে না। ফলে চার দিবস কন্টেনার চার্জ ফ্রি থাকলেও ব্যবসায়ীরা সেই সুযোগ পাবে না। তাদের অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। সম্প্রতি বন্দরের কন্টেনার চার্জ চারগুণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় ছুটির সময় বন্দর চার্জ মওকুফ করা হলে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবেন। ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যমূল্য স্বাভাবিক থাকবে। এ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক ও বিমার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আফতাব জাভেদ বলেন, দশদিনের ছুটিতে বন্দরের ডেমারেজ চার্জ মওকুফ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন। তিনি জানান, বন্দরের চার্জ বেশি হলে এর দায় শেষ পর্যন্ত ভোক্তার ওপর বর্তায়। তাই চার্জ মওকুফ করলে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ভোক্তারাই বেশি উপকৃত হবেন। 
আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল মার্চেন্ডাইস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিইএমএমএ-বিমা) এ খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের আমদানিতে রেয়াত দেওয়ার দাবি করেছে। ১৫ শতাংরে পরিবর্তে ৫ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণের দাবি করেছেন উদ্যোক্তারা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের কাঁচামাল কমার্শিয়াল আমদানিকারকদের কাছ থেকে কেনা হয়ে থাকে। কাঁচামালের মূল মূল্যের ওপর ১০ শতাংশ যুক্ত করে বাজারজাতকরণ করে থাকে।

রেয়াতবিহীন ১৫ শতাংশ ভ্যালু এ্যাডেড ট্যাক্স (ভ্যাট) পরিশোধ করে বাজারজাত করা দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু তাই নয় স্ক্র্যাপ দিয়ে যে সকল প্রতিষ্ঠান তামা, পিতল, অ্যালুমিনিয়াম ও মেটাল প্রস্তুত করেন তাদের ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেওয়া কঠিন। এনবিআরকে দেওয়া ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় স্ক্র্যাপ তৈরি তামা, পিতল, অ্যালুমিনিয়াম ও মেটালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। 
স্ক্র্যাপ দিয়ে তৈরি তামা, পিতল অ্যালুমিনিয়াম ও মেটাল আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি বন্ধ করার জন্য সুপারিশ করা হলো। তাই লভ্যাংশ ১০ শতাংশের ওপরে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং যে সকল কারখানা রেয়াত দিতে পারে না তাদের ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

×