ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ১,০৮০ জন অবৈধ ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার (৩০ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের মধ্যে ৬২ শতাংশই বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন। তিনি বলেন, “ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে অবৈধভাবে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।”
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে এবং এটি “দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে” সম্পন্ন হচ্ছে।
এদিকে, একই সংবাদ সম্মেলনে রণধীর জয়সওয়াল যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চলমান টানাপোড়েন নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, “ভারতের অবস্থান স্পষ্ট—আমরা অবৈধ অভিবাসনকে সমর্থন করি না। তবে, যদি কোনো ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে অবস্থান করেন এবং তাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা যায়, তাহলে আমরা তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করব।”
সম্প্রতি, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বিশ্বব্যাপী মার্কিন দূতাবাসগুলোকে নতুন শিক্ষার্থী ও এক্সচেঞ্জ ভিসার ইন্টারভিউ আপাতত স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ভিসা আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলসহ অতিরিক্ত তথ্য যাচাইয়ের ওপর জোর দেওয়া হবে এবং নতুন ইন্টারভিউ গ্রহণ আপাতত বন্ধ থাকবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, এই নতুন নীতির ফলে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের একাডেমিক প্রোগ্রামে যোগ দিতে কোনো সমস্যা হবে না। তারা আশা করে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ ভিসার আবেদন মূল্যায়নের ক্ষেত্রে যোগ্যতাকে গুরুত্ব দেবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে এ ধরনের কঠোরতা আগামী দিনগুলোতে আরও বাড়তে পারে। অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি বৈধ ভিসা আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি বৃদ্ধি পাওয়া একটি স্পষ্ট বার্তা।
শিহাব
