ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

স্বাস্থ্যঝুঁকি

দুমকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে খালে

দুমকি, পটুয়াখালী, সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ২১:৩০, ৩১ মে ২০২৫

দুমকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে খালে

যত্রতত্রভাবে খোলা জায়গায় ময়লা ফেলায় হুমকিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি

যত্রতত্রভাবে খোলা জায়গায়   ও খালে ফেলা  হচ্ছে  ৫০ সজ্জা বিশিষ্ট দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্জ্য। এ দৃশ্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনেই। সেখানে সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গে চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত জীবাণুযুক্ত তুলা, ব্যান্ডেজ, সুই, সিরিঞ্জ, কাঁচের বোতল বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ফেলায় সেগুলো সব পচে-গলে একাকার হচ্ছে। বৃষ্টি কিংবা  পানির সঙ্গে সেগুলো মিশছে নদীতে। একদিকে যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, তেমনি হুমকিতে পড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশেই রয়েছে উপজেলা প্রধান ডাকঘর, দুমকি একে মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নাসিমা কেরামত আলী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ, একে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়। এভাবে বর্জ্য ফেলে রাখায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে সাধারণের পাশাপাশি স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। অনেকেই মনে করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি আর অসচেতনতাই এমন অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী। 
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের সামনেই রাস্তার পাশে ও খালের মধ্যে ময়লার স্তূপ। যদিও পাশেই রয়েছে বর্জ পুড়িয়ে ফেলার চুল্লি। অযতœ-অবহেলায় সেটি ব্যবহারের অনুপযোগী। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে সরকারি অর্থে নির্মিত এ চুল্লি কোনো কাজেই আসছে না। এছাড়াও হাসপাতালের পেছনে পশ্চিমপাশেও ময়লার স্তূপ দেখা গেছে।  প্রতিবছর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য টাকা বরাদ্দ এলেও ভুয়া বিল- ভাউচার ও  ভাগবাটোয়ারায় চলে যায় পকেটে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এমনটাই জানা গেছে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে আলাপকালে।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন রাহিমা বেগম বলেন, খোলা জায়গায় ফেলে রাখা এসব প্রাণঘাতী চিকিৎসা বর্জ্য অনেক ক্ষতিকর। আমরা যারা রোগীর লোক আছি, আমাদের জন্য সেগুলো অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। দুমকি নাসিমা কেরামত আলী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজি মাকসুদুর রহমান বলেন, হাসপাতালের এসব বর্জ্যের কারণে প্রতিনিয়তই পরিবেশের উপাদান মাটি, পানি এবং বায়ু দূষিত হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে সৃষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ এসব বর্জ্য যত্রতত্র ফেলায় হেপাটাইটিস বি, সি কিংবা এইডসসহ মারাত্মক রোগ ছড়াতে পারে।

বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। দুমকি এ.কে মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহামুদা আক্তার হেপী বলেন, এভাবে হাসপাতালের বর্জ্য যত্রতত্র ফেলা মোটেই কাম্য নয়। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর শহিদুল হাসান শাহীন বলেন,  ‘এগুলোতো  ওখানে ফেলার কথা নয়। আমি তাদেরকে বলব ভবিষ্যতে যেন আর না  ফেলে। উপজেলা স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির সভাপতি ও  দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মোঃ ইজাজুল হক জানান, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

×