
দৈনিক জনকণ্ঠ
সরকারি নিষেধ অমান্য করে এবারো উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার রাধাকান্ত হাট কর্তৃপক্ষ ঢাকা - নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর বসিয়েছে কোরবানির গরুর হাট। জানা গেছে, সরকার বারংবার সড়ক ও মহাসড়কে কোরবানির গরু ছাগলের হাট বসানো বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
কিন্তু সরকারের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আসছেন প্রভাবশালী ইজারাদার। এবার একই কাজ করছেন খাস কালেকশন পদ্ধতিতে টোল আদায় করা সান্তাহার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। বছর হাটের ডাক তথা ইজারা টেন্ডার বাতিল হয়। কারণে খাস কালেকশন পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হচ্ছে।
শনিবার ছিল কোরবানির পশুর প্রথম হাট। হাটের এক পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা ছাড়াও আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর বসানো হয়েছে হাট। হাটে প্রতিটি গরুর জন্য নির্ধারিত চার শত টাকা টোলের পরিবর্তে আট শত টাকা এবং খাসির জন্য নির্ধারিত দেড় শত টাকার পরিবর্তে চার শত টাকা করে আদায় করতে গেছে। কিন্তু রশিদে আদায় করা টোল হার লিখতে দেখা যায়নি।
এদিকে এই আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর কোরবানির পশুর হাট বসানোর কারণে সৃষ্টি হয় অসহনীয় যানজট। তীব্র যানজটের কারণে সব ধরনের যানবাহনকে শামুকগতিতে চলতে হয়। এসময় ভ্যাপসা গরমে হাপিয়ে উঠে চালক হেলপাররা।
এরমধ্যে বিশেষ করে দুর্ভোগ পোহাতে হয় ঢাকা ও বগুড়া থেকে চলাচল করা বাসের নারী ও শিশুসহ সব যাত্রীদের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়। বিয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সান্তাহার পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যা বলেন, সান্তাহার রাধাকান্ত হাটের কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় পশু মালিক ও ব্যবসায়ীরা সড়কেই গরু দাঁড় করিয়ে কেনা বেচ করে আসছে অনেক আগে থেকে, এবার তো নতুন নয়।
তীব্র যানজটে যানবাহন বিশেষ করে বাসযাত্রীদের অসহনীয় দুর্ভোগের বিষয়ে বলেন, সরকারি রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে দুই / তিন কষ্ট করতে হবে। তিনি বলেন বাৎসরিক ইজারাদার নিয়োগ না থাকলেও খাস কালেকশন আদায়ের জন্য ইজারাদার নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানান।
বিয়ে পৌরসভা প্রশাসকের মুখপাত্র পৌরসভার প্রকৌশলী মো. রায়হান আলী বলেন, খাস কালেকশন পদ্ধতিতে পৌরসভার তত্ত্বাবধানে টোল আদায় করা হচ্ছে। তবে মাহমুদুল মানিক নামের সাবেক ইজারাদার আমাদের সহযোগিতা করেছেন। নির্ধারিত টোলের চেয়ে অতিরিক্ত হারে আদায় করার বিষয়ে বলেন এমনটা তো হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।
হ্যাপী