ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান কূপ খননে চলছে নির্মাণকাজ 

নিজস্ব সংবাদদাতা, সেনবাগ, নোয়াখালী

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ৩১ মে ২০২৫

প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান কূপ খননে চলছে নির্মাণকাজ 

নোয়াখালীর সেনবাগে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে

নোয়াখালীর সেনবাগে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে সম্প্রতি উপজেলার ৯নং নবীপুর ইউনিয়নের ৩নং বড়চারিগাঁও গ্রামে। 
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশনের (বাপেক্স) গ্যাসের অনুসন্ধানকালে বড়চারিগাঁও গ্রামে প্রাথমিকভাবে গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাবনা দেখা দেয়। এরপর বাপেক্সের পক্ষ থেকে গ্যাস উত্তোলনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। যার আংশ হিসেবে গত ডিসেম্বর মাসে গ্যাস কুপ খনন ও গ্যাসের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য জমিন অধিগ্রহণ করে নির্মাণ কাজ শুরু করে। বর্তমানে কুপে যাতায়াতের জন্য সড়ক নির্মাণ এবং ভবনসহ অন্য স্থাপনা নির্মাণে বালু ভরাটের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। গ্যাস প্রাপ্তির ঘটনায় পুরো এলাকার মানুষের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
শনিবার সকালে সরেজমিনে গ্যাস প্রাপ্তির স্থান বড়চারিগাঁও গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকটি ভ্যাকু মেশিন বালু ভরাটের কাজ করছে এবং শ্রমিকরা ভবন নির্মাণের জন্য  সি-টু ফাইল পাইল ঢালাইয়ের কাজ করছে। কথা হয় নির্মাণ কাজ তদারকিকারী বাপেক্সের সহকারী প্রকৌশলী কামরুল হাসানের সঙ্গে। তিনি জানান, বাপেক্সের মাঠ পর্যায়ে প্রাথমিক গ্যাস অনুসন্ধানকালে অত্র এলাকায় গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাবনা দেখা দেয়। এরপর গ্যাস উত্তোলনের জন্য ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার ফুট গভীরে কূপ খননের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় বাপেক্স। বর্তমানে এখানে বালু ভরাট ও ভবন নির্মাণের জন্য কাজ চলমান রয়েছে। এগুলো নির্মাণের পর কুপ খননের কাজ শুরু হবে। কুপ খনন শেষে বোঝা যাবে কতটুকু গ্যাস রয়েছে কুপটিতে।
বাপেক্স সূত্রে জানা গেছে, দেশের অর্থনীতি ও শিল্পায়নকে আরও গতিশীল করতে বাড়তি গ্যাস প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে মানুষের চাহিদা পূরণে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। যার অংশ হিসেবে ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪৬টি নতুন অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খনন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ১৯৭৬ সালে গ্যাসের সন্ধানে প্রথম কূপ খনন করা হয়। এরপর ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় আরেকটি কূপ খনন করা হয়। দুটি কূপের কোনোটিতে কাক্সিক্ষত পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যায়নি। পরে ২০১৩ সালে তৃতীয় আরেকটি কূপের খনন শেষে সেখানে কাক্সিক্ষত গ্যাস পাওয়া যায়। পরে ওই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়। ওই কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

×