
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে টানা বর্ষণ ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে । গত তিনদিন থেকে উপজেলার সুরমা, চেলা,খাসিয়ামারা,চিলাই,ধূমখালিসহ বিভিন্ন নদীনালা,হাওর ও খাল বিলে হুহু করে ডুকছে পানি।
স্থানীয় হাওরগুলোতে পানি ডুকে নিম্নাঞ্চলের গ্রামীন সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ার শষ্কা বাড়ছে। বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাট ও গোচারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
সুরমা,চিলাই,খাসিয়ামারা নদী গুলোতে পানি বাড়লে বিপাকে পড়েন কয়েক ইউনিয়নের মানুষ।দোয়ারা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় দোহালিয়া,পান্ডারগাঁও,মান্নারগাঁও, সুরমা, বগুলা,লক্ষীপুর ও বাংলাবাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের বন্যার প্রস্তুতি নিচ্ছেন দোহালিয়া ইউনিয়নের রুপন কুমার দাস, তিনি বলেন ২০২২ সালে হঠাৎ করেই বন্যায় পুরো এলাকা তলিয়ে যায়, এতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরিবার ও গবাদি পশু নিয়ে পরেছিলাম মহা বিপদে তাই বন্যার আশঙ্কা দেখেই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।
মাঝারি ও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সুনামগঞ্জ। ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টি হচ্ছে, তবে সেটি স্বাভাবিক মাত্রায়। মূলত চেরাপুঞ্জিতে বেশি বৃষ্টি হলে সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢল নামে।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুপ রতন সিংহ জানান, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারি ত্রাণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমরা বদ্ধপরিকর। স্বেচ্ছাসেবকসহ আমাদের মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।
রাজু