
দৈনিক জনকণ্ঠ
আর মাত্র ৬ দিন বাকি থাকলেও এখনো জমে উঠেনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার অধিকাংশ পশুর হাট। ক্রেতার অপেক্ষায় সময় পার করছেন হাটে আসা ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (৩১ মে) সারাদিন উপজেলার কাঞ্চন নগর হাট, নাজিরহাট, নারায়ণহাট, খিরাম দৌলত মুন্সিরহাটসহ বেশকটি হাটে খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য জানা যায়। তবে ব্যবসায়ীরা জানান, বৃষ্টির জন্য ক্রেতার সংখ্যা কিছুটা কম হলেও আগামী দু-এক দিনের মধ্যে বেচাকেনা শুরু হবে বলে আশা করছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে ক্রেতার সমাগম হচ্ছে না। দু-একজন যারা আসছেন তারাও দাম যাচাই-বাছাই করে ফিরে যাচ্ছেন। এছাড়াও প্রতি বছরের মতো হাটের আকার বড় হলেও গরুর সংখ্যাও কম।
সরেজমিনে নারায়ণহাট ও কাঞ্চননগরহাটে দেখা যায়, সারাদিন আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। থেমে থেমে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে উপজেলার বিভিন্নস্থানে। যার প্রভাব পড়ে পশুরহাটে। নিজেদের লালন করা গরু নিয়ে হাটে হাজির হয়েছে গৃহস্থ, খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
তবে বাজারে প্রচুর গরু উঠলেও চোখে পড়ার মতো ক্রেতা ছিল না বাজারে। যার ফলে অলস সময় কাটে ক্রেতাদের। এছাড়াও বিকেলের দিকে অনেক বিক্রেতাকে অবিক্রীত গরু নিয়ে বাড়ি ফিরতেও দেখা যায়।
কাঞ্চননগর ঝরঝরি এলাকা থেকে কাঞ্চুরহাটে গরু নিয়ে আসা মো. এনাম বলেন, হাটে ক্রেতা নেই, গরুও উঠেনি। সারাদিনে এখনও একটা গরুও বিক্রি হয়নি। হাটে ক্রেতা কম। ঈদের আগে গরুগুলো বিক্রি করতে না পারলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে।
বাগানবাজার ইউনিয়ন থেকে ৭টি গরু নিয়ে নারায়ণহাটে এসেছেন মো. বাবুল। তিনি বলেন, আমার সবগুলো গরুই উন্নত জাতের। তবে এখন পর্যন্ত গরু বিক্রি হয়নি। হাটেও ক্রেতা কম।
নাজিরহাট পৌরসভার বারৈয়ারহাট এলাকা থেকে গরু কিনতে আনা জানে আলম বলেন, 'হাটে আসলাম, গরু দেখছি। তবে যে গরুই পছন্দ হচ্ছে, তার দাম লাখের ওপরে। হাটে আরও গরু আসুক। দেখা যাক দাম কিছুটা কমে কিনা। এখনও তো সময় আছে।'
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মোমিন বলেন, 'আসন্ন কোরবানির ইদ উপলক্ষ্যে চাহিদার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সব পশুর হাটে উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে যেখানে প্রয়োজন সেখানে ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে ভেটেরিনারি সার্জন থাকবে, তাঁরা পশুদের চিকিৎসা দেবেন।'
হ্যাপী