ছবি: জনকণ্ঠ
রাঙামাটির বরকল উপজেলার ভূষণছড়ায় শান্তি বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নিহত চার শতাধিক নিরীহ বাঙালি নারী-পুরুষের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে।
১৯৮৪ সালের ৩১ মে শান্তি বাহিনীর হাতে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল। দিনটি উপলক্ষে শনিবার দুপুরে বরকলে এক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভূষণছড়া গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, হত্যাকারীদের বিচার ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবিতে বক্তারা আহ্বান জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের আয়োজনে বরকল উপজেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মিনহাজ মুরশিদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, স্থানীয় সমাজসেবক মোঃ জাকির, মোঃ সিদ্দিক ব্যাপারি, শাহ আলম সওদাগর প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ভূষণছড়া গণহত্যাসহ বহু বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছেন পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালিরা। এখন পর্যন্ত কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি।
তারা অভিযোগ করেন, ৩০ হাজার বাঙালির হত্যার অভিযুক্ত জেএসএস নেতা সন্তু লারমাকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছে, যা এই হত্যাযজ্ঞের শিকার পরিবারগুলোর জন্য এক ধরনের উপহাস।
বক্তারা বলেন, পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের দাপট, সন্ত্রাস, গুম, খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির ঘটনায় পাহাড়ি-বাঙালি নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ আজ অতিষ্ঠ। তাই পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে অবিলম্বে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সন্ত্রাস দমন ও অস্ত্র উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান বক্তারা।
শহীদ
