
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সয়লাব হয়েছে অপরিপক্ব ফলে। বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। এতে ক্রেতা- ভোক্তার স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। এসব মৌসমী অপরিপক্ব ফলের মধ্যে রয়েছে আম, লিচু, আনারস, অন্যতম। এছাড়াও এ তালিকায় রয়েছে লটকন, ডালিম, জামরুল, পেয়ারা, পেঁপে ও কলা।
ফল আমাদের খাদ্য ও পুষ্টির অন্যতম প্রধান উৎস। কিন্তু দেশের এক শ্রেণির অসাধু মধ্যস্বত্বভোগী অতিমুনাফা লোভী ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা অধিক লাভের আশায় কৃত্রিমভাবে ফল পাকিয়ে ফলের পুষ্টিগুণ বিনষ্ট করে বাজারে বিক্রি করছে। ক্যালসিয়াম কার্বাইডসহ বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে মৌসুমি ফল পাকিয়ে বাজারজাত করছে।এতে ক্রেতাসাধারণ ও চূড়ান্ত ভোক্তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, প্রতারিত হয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে।
উপজেলার হাজরাবাড়ি বাজারে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আম, লিচু, আনারস, লটকন, পেয়ারা, পেঁপে ও কলার মত নানা রকম এসব বাহারী মৌসুমি ফলের পসরা সাজিয়ে দোকান বসিয়েছেন ফল ব্যবসায়ীরা। এসব দোকানে ক্রেতা চোখে পড়ার মত। ফল তারা অনায়াসে কিনে নিয়ে তুলে দিচ্ছে পরিবারের সদস্যদের মুখে।
হাজরাবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আকার ও প্রকারভেদে লিচু বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা আঁটি, এক আঁটিতে থাকছে ৫০টি লিচু। আম ৫০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, জাম ২০০ টাকা কেজি, আনারস বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় পিস, পেয়ারা ৬০ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা জানান, ‘২০০ টাকা দিয়ে চাইনা-৩ জাতের ৫০টি লিচু কিনেছি।এসব লিচুতে কোনো প্রকার রস নাই, স্বাদ তো নাইই। আমার টাকাটাই নষ্ট।’
মেলান্দহ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো এসব অপরিপক্ব ফলকে পরিপক্ব মনে করে চড়া দামে কিনছে ক্রেতারা। এসব ফল নিজেরা ও তাদের বাচ্চাদের খাওয়াচ্ছে। ফলে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। এসব অপরিপক্ব ফল বিক্রি ঠেকাতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও ভোক্তা অধিকার আইন প্রয়োগসহ জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম আলমগীর কবির বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের স্যানিটারি ইন্সপেক্টরকে নির্দেশনা দিয়ে দেবো। উনি বাজারগুলো পরিদর্শন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নিবেন।’
মিরাজ খান