
তালশাঁস ব্যাপক চাহিদা
পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যারাত পর্যন্ত তালশাঁস ব্যাপক চাহিদা।
একটি তাল আকারভেদে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকায় খুচরা বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। একজন খুচরা বিক্রেতা প্রতিদিন তালশাঁস বিক্রি করে ১৫শ’ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ করে থাকেন। তীব্র গরমে একটু স্বস্তির জন্য নানা ধরনের ফল খেয়ে থাকে মানুষ। এসব ফলের তালিকায় রয়েছে ভেজালবিহীন তালশাঁস। তালশাঁস শরীর ও মনকে সতেজ রাখে। আর এই তালশাঁস পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ায় অনেকেই আগ্রহ ভরে খেয়ে থাকেন।
তবে বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে তালশাঁস বেশি পাওয়া যায়। কেউ ফেরি করে আবার কেউ বাজারে বসে তালশাঁস বিক্রি করছেন। শহর গ্রামঅঞ্চলসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরা ও পাইকরী তালশাঁস বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। এসব খুচরা ব্যবসায়ী সাধারণ গৃহস্থের কাছ থেকে গাছধরা হিসেবে কিনে থাকে। এতে লাভ বেশি হয়ে থাকে।
তালশাঁস কিনতে আসা ক্রেতা আবু ছালেক বলেন, প্রতি বছর এ সময়ে এ ফল পাওয়া যায়। খেতে অনেক সুস্বাদু ও ভালো লাগে। তালশাঁস আমার ও পরিবারের সকলের খুব পছন্দের। উপজেলার হান্ডিয়াল বাজারে তালশাঁস ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, গৃহস্থের কাছ থেকে একটি তালগাছ পাইকারি আকারভেদে দুই থেকে তিন হাজার টাকায় কিনতে হয়। এতে খরচ খরচ বাদে একটি তালগাছ থেকে প্রায় দুই হাজার টাকা লাভ হয়। একটি তালশাঁসের রোয়া ৪ টাকা থেকে ৭ টাকায় বিক্রি করে থাকি।
চাটমোহর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তালশাঁস ব্যবসায়ী মহুরুল ইসলাম বলেন, প্রতি তালশাঁস আমরা আকারভেদে বিক্রি করি ১০ থেকে ২০ টাকা। একটা তালগাছের তাল বিক্রি করে গৃহস্থের প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা আয় হয়ে থাকে। এ ছাড়া বজ্রপাত ঠেকাতেও তালগাছের গুরুত্ব অপরিসীম। যে কারণে গৃহস্থরা দিন দিন তালগাছ লাগাতে শুরু করেছে। তালগাছ অযতœ আর অবহেলায় বড় হয়ে থাকে, তালগাছের তেমন কোনো যতœ করতে হয় না। ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, তালশাঁসে জলশূন্যতা দূর করতে সহায়তা হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করে, হাড়ের গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।