
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির খসড়া ‘যুদ্ধ থামানোর কোনো স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেয় না’ বলে জানিয়েছে হামাস। গাজার উপর ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যেই এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে হামাসের কাছে। তবে হামাস নেতারা একে বরং “হত্যা ও দুর্ভিক্ষের ধারাবাহিকতা” বলেই আখ্যায়িত করছেন।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাঈম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের এই প্রস্তাব “এখনো হামাসের আলোচনার আওতায় রয়েছে।” তবে তা দলটির কোনো দাবিকে মেটায় না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বাসেম নাঈম ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “এই প্রস্তাবের অর্থ হলো হত্যাকাণ্ড ও দুর্ভিক্ষ চলতেই থাকবে। আমাদের জনগণের মৌলিক দাবিগুলোর—বিশেষ করে যুদ্ধ থামানোর—কোনো সদুত্তর এতে নেই।”
তিনি আরও বলেন, “তারপরও জাতীয় দায়িত্ববোধ থেকে হামাস নেতৃত্ব এই প্রস্তাবটি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করছে এবং প্রতিক্রিয়া জানাবে।”
এর আগে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, ইসরায়েল এই প্রস্তাবকে অনুমোদন দিয়েছে এবং এখন সেটি হামাসের পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। কিন্তু হামাসের এই প্রতিক্রিয়া নতুন করে প্রশ্ন তুলছে মার্কিন মধ্যস্থতার কার্যকারিতা নিয়ে।
ইতোমধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, ধ্বংস হয়েছে ঘরবাড়ি, হাসপাতাল ও আশ্রয়কেন্দ্র। মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। এই প্রেক্ষাপটে একটি কার্যকর যুদ্ধবিরতির আশায় ছিল গোটা বিশ্ব। কিন্তু হামাসের বক্তব্য স্পষ্ট করে দিচ্ছে, প্রস্তাবটি আদতে শান্তির বার্তা নয়, বরং সামরিক আগ্রাসনের বৈধতা রক্ষার একটি প্রচেষ্টা।
হামাসের দাবি অনুযায়ী, শান্তি আলোচনা তখনই অর্থবহ হবে যখন তা যুদ্ধ অবসান, অবরোধ প্রত্যাহার ও গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তার নিশ্চয়তা দেবে। এখন দেখার বিষয়, এই প্রস্তাবের আলোচনায় ভবিষ্যতে কোনো গঠনমূলক সমাধান খুঁজে পাওয়া যায় কিনা।
ফরিদ