
ছবি: সংগৃহীত
আমিরাতের বিশিষ্ট ব্যবসায়িক নেতা শাইখা আল নুয়াইস জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডব্লিউটিও) নতুন মহাসচিব হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন, যা সংস্থাটির পাঁচ দশকের ইতিহাসে এই পদে প্রথম কোনো নারীর নিয়োগ। এই নিয়োগটি ইউএনডব্লিউটিও’র সাধারণ পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে কার্যকর হবে ২০২৬ সাল থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত। রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এই নিয়োগকে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, “জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মহাসচিব হিসেবে শাইখা আল নুয়াইসকে অভিনন্দন। এই গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রথম নারী হিসেবে তাঁর নিয়োগ আমিরাতের নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি হিসেবে পর্যটন খাতের ভূমিকাকে তুলে ধরে।”
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুমও শাইখা আল নুয়াইসের এই অর্জনকে প্রশংসা করে বলেন, “জায়েদ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শাইখা আল নুয়াইস পর্যটন খাতে ১৫ বছরের গৌরবময় অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন এবং বহু সম্মাননা ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “পাঁচ দশকের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো নারী এই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হচ্ছেন এবং তিনি বৈশ্বিক পর্যটন খাতকে রূপান্তরের পথে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী।”
শেখ মোহাম্মদ আরও বলেন, “আমাদের তরুণ-তরুণীরা আমিরাতকে গর্বের সঙ্গে প্রতিনিধিত্ব করছে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের নাম, পতাকা ও অবদান উজ্জ্বল করছে। আমরা তাদের অর্জনে গর্বিত এবং তাদের আহ্বান জানাই যেন তারা সর্বত্র আমাদের দেশের মান, মূল্যবোধ ও অর্জন ধরে রাখে।”
১২৩তম নির্বাহী কাউন্সিল অধিবেশনে ৩৫টি সদস্য রাষ্ট্রের ভোটে শাইখা আল নুয়াইস নির্বাচিত হন। এই অধিবেশনে উদ্ভাবন, বিনিয়োগ এবং শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়নে পর্যটন খাতের অবদান পুনরায় নিশ্চিত করা হয়।
বর্তমানে তিনি রোটানায় ‘অনার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট’-এর কর্পোরেট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বৈশ্বিক পর্যটন ও আতিথেয়তা শিল্পে তাঁর কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি ও নেতৃত্ব ব্যাপকভাবে স্বীকৃত।
তাঁর পেশাগত পটভূমিতে রয়েছে কর্পোরেট গভার্ন্যান্স, টেকসইতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, যা তাঁকে ইউএনডব্লিউটিও’র ভবিষ্যতের জন্য এক রূপান্তরমূলক নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই সংস্থার শীর্ষপদে আগে কখনো কোনো নারী ছিলেন না।
শহীদ