ছবি: সংগৃহীত
গাজায় হামাসকে ধ্বংস এবং ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্ত করা—প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বারবার বলেছেন, এই দুটো লক্ষ্য অর্জনের আগ পর্যন্ত গাজায় সেনা অভিযান থামবে না। তবে বিশ্লেষক ও ইসরায়েলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও মনে করছেন, নেতানিয়াহু এই দুটি লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন এবং তার পক্ষে এগুলো অর্জন সম্ভব বলেও মনে হচ্ছে না।
এর বিপরীতে অনেকেই যুক্তি দিচ্ছেন, গাজায় সামরিক অভিযান দীর্ঘায়িত করার মাধ্যমে নেতানিয়াহু মূলত নিজের ক্ষমতা ধরে রাখার পথ তৈরি করছেন।
ইসরায়েলের ভেতরেই নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে, বিশেষ করে বন্দিদের মুক্ত করতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে। বন্দিদের পরিবারগুলো চাচ্ছে, একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে বন্দিদের মুক্তির জন্য নেতানিয়াহু যেন চুক্তিতে রাজি হন। কিন্তু তিনি তা না করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পথে আছেন।
ওয়াশিংটনভিত্তিক অ্যারাব সেন্টারের জন্য লেখা এক প্রতিবেদনে রাজনৈতিক বিশ্লেষক থায়ের আবু রাস লিখেছেন, “এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার মাধ্যমে নেতানিয়াহু একদিকে তার অনিশ্চিত রাজনৈতিক ভবিষ্যতের মধ্যে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার সুযোগ পাচ্ছেন, অন্যদিকে এটি তার বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতির মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করারও একটি উপায়।”
আবু রাস আরও বলেন, “গাজা ভূখণ্ডকে ভৌগোলিক ও জনসংখ্যাগতভাবে পুনর্গঠন করাও নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক টিকে থাকার স্বার্থে এবং তার আদর্শিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ—যা তার জোটসঙ্গীদেরও চাওয়া।”
সব মিলিয়ে বিশ্লেষকদের মতে, গাজায় যুদ্ধ থামানোর চেয়ে নেতানিয়াহুর জন্য সেটি দীর্ঘায়িত করাই এখন বেশি রাজনৈতিকভাবে লাভজনক। যুদ্ধ চলতেই থাকলে জনগণের দৃষ্টি বন্দিমুক্তি বা দুর্নীতির অভিযোগের দিক থেকে সরে গিয়ে নিরাপত্তার দিকেই কেন্দ্রীভূত থাকবে—এটাই হতে পারে নেতানিয়াহুর কৌশল।
ফরিদ
