
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ৩৮ হাজার ৬৩২টি হতদরিদ্র পরিবার পাচ্ছে ১০ কেজি করে চাল। সরকারের ভিজিএফ (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে মোট ৩৮৬ দশমিক ৩২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়গুলোতে চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ইউনিয়নভিত্তিক চাল বরাদ্দ:
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে—
-
নাওডাঙ্গা ইউনিয়নে: ৫,২০০ পরিবার — ৫২ মেট্রিক টন
-
শিমুলবাড়ী ইউনিয়নে: ৪,০০০ পরিবার — ৪০ মেট্রিক টন
-
ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নে: ৯,২০৭ পরিবার — ৯২.০৭ মেট্রিক টন
-
বড়ভিটা ইউনিয়নে: ৬,৩৭৫ পরিবার — ৬৩.৭৫ মেট্রিক টন
-
ভাঙ্গামোর ইউনিয়নে: ৬,৭৭৫ পরিবার — ৬৭.৭৫ মেট্রিক টন
-
কাশিপুর ইউনিয়নে: ৭,৭৫ পরিবার — ৭০.৭৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ হয়েছে।
সোমবার বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নির্ধারিত হতদরিদ্রদের মাঝে সুশৃঙ্খলভাবে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এ সময় ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাবুল হোসেন, ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইলিয়াস হোসেন, আজিম উদ্দিন ও গোলাম মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন। বিতরণ কার্যক্রম তদারক করেন ট্যাগ অফিসার মোজাফফর হোসেন।
বড়ভিটা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জান্নাতি খাতুন বলেন, "আমাদের ইউনিয়নে ৬ হাজার ৩৭৫ জন উপকারভোগীর জন্য ৬৩.৭৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি। আজ ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১,৫৬৬ জনকে চাল দেওয়া হচ্ছে। আগামী ৪ জুনের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন করার নির্দেশনা রয়েছে। ইনশাআল্লাহ নির্ধারিত সময়েই বিতরণ শেষ হবে।"
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজ উদ্দৌলা জানান, “চাল বিতরণে যাতে কোনো অনিয়ম না হয়, সেজন্য প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে একজন করে ট্যাগ অফিসার নিয়োজিত আছেন। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই সুষ্ঠুভাবে বিতরণ কার্যক্রম শেষ হবে বলে আশা করছি।”
নুসরাত