
বান্দরবানে টানা দুই দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে ধসে গিয়ে বান্দরবান-সয়ালক-লামা সড়কের টংকাবতী ইউনিয়নের রমজুপাড়া ও রঙ্গিন মুখের মাঝামাঝি স্থানে সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে জেলা সদরের সঙ্গে লামা উপজেলার বিকল্প সংযোগ সড়কটি বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, টানা দুই দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ওই সড়কের ১৮ ফুটের একটি বড় অংশ ধসে পড়ায় বর্তমানে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও, বান্দরবান-রুমা সড়কের দাওলিয়ান পাড়ার কাছে পাহাড় ধসের কারণে শুক্রবার দুপুর থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাহাড় ধস ও বন্যার আশঙ্কায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা শহর ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মোট ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
বান্দরবান জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মণ্ডল জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ২২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধস এবং বন্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলার সাতটি উপজেলায় ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে মাইকিংয়ের মাধ্যমে জরুরি বার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
ফরিদ