
ছবিঃ সংগৃহীত
ইয়েমেনের সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে দাঁড়িয়ে ছিল একটি বেসামরিক উড়োজাহাজ। এটি ইয়েমেনের হজযাত্রীদের সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের সেই যাত্রা আর সম্ভব হয়নি। ইসরায়েলি বাহিনীর মিসাইল হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে ওই উড়োজাহাজটি—যা ছিল ইয়েমেনিয়া এয়ারওয়েজ পরিচালিত দেশটির শেষ বেসামরিক বিমান।
হামলার ঘটনায় পুরো ইয়েমেনে নেমে এসেছে শোক আর ক্ষোভ। দেশটির মুসলিম নাগরিকদের হজ পালনের শেষ ভরসাটুকু এভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় অনিশ্চয়তায় পড়েছেন হাজারো হজপ্রত্যাশী।
ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র জবাব
ইয়েমেনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী ইসরায়েলি হামলার জবাব দিতে দেরি করেনি। পরদিনই ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর বেনগুরিয়ন লক্ষ্য করে ছোড়া হয় হাইপারসোনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের এই হামলায় ইসরায়েলজুড়ে বাড়ে আতঙ্ক। পশ্চিম তীর ও জেরুজালেম এলাকায় বাজতে শুরু করে সাইরেন, জনগণকে মোবাইলে পাঠানো হয় সতর্কবার্তা।
প্রতিরোধ গোষ্ঠীর মুখপাত্র জানান, হামলাটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হেনেছে এবং বেনগুরিয়ন বিমানবন্দরের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে।
ইসরায়েলের হুমকি ও প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টস বলেন, “ইসরায়েলের ওপর হামলা চালালে তার চড়া মূল্য দিতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আরও একধাপ এগিয়ে হুঁশিয়ারি দেন, “যারা ইসরায়েলের ক্ষতির কারণ হবে, তাদের ধুলিসাৎ করে দেওয়া হবে।”
হজযাত্রীদের ওপর হামলা: নতুন আগ্রাসন?
এই হামলাকে প্রতিরোধ গোষ্ঠী হজযাত্রীদের ধর্মীয় অধিকার ও মানবাধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এক শীর্ষ নেতা বলেন, “হজযাত্রীদের পথ রুদ্ধ করে ইসরায়েল মুসলিম বিশ্বের ধর্মীয় অনুভূতিতে সরাসরি আঘাত হেনেছে। ফিলিস্তিনের প্রতি ইয়েমেনের সমর্থন এভাবে থামানো যাবে না।”
ইমরান