
ছবি: সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বাদামের আবাদ। চলতি রবি মৌসুমে পুরো উপজেলায় বাদাম আবাদ হয়েছে প্রায় ৮৫ হেক্টর জমিতে। নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের লাপাং, দড়িলাপাং, চর লাপাং, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পূর্ব কৃষ্ণনগর, বীরগাঁও ইউনিয়নের নজরদৌলতে সবচেয়ে বেশি বাদাম আবাদ হয়। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদাম চাষ বেশি লাভবান হওয়ায় বাদাম চাষকে ঘিরেই স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, নবীনগরে প্রায় ৫ শতাধিক কৃষক রবি এবং খরিপ মৌসুম জুড়ে বাদাম চাষ করেন। বাদামের রোগ বালাই প্রকোপ একেবারে কম, আবহাওয়া ভালো থাকলে বিঘা প্রতি ৭ থেকে ৮ মণ বাদামের ফলন পাওয়া যায়। যার ফলে বাদাম চাষ করে অধিক আয় করা সম্ভব। এছাড়াও বাদাম চাষে কৃষি বিভাগ থেকেও কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। যার ফলে স্থানীয় কৃষকদের পাশাপাশি এখন আশেপাশের অনেকেই বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
কৃষ্ণনগরের কৃষক মনির হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে ৯ বিঘা জমিতে তিনি চিনাবাদাম আবাদ করেছেন। তিনি জানান, চিনাবাদামের ফলন আমাদের মাটিতে ভালো হয় এবং বাজারদরও ভালো। বিঘা প্রতি ৭ থেকে ৮ মণ ফলন পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।
লাপাং গ্রামের কৃষক কামাল মিয়া জানান, চলতি মৌসুমে ৩ বিঘা জমিতে তিনি বাদাম চাষ করেছেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় ভালো ফলন হয়ছে। তিনি জানান, বাদাম চাষে রোগ বালাই প্রকোপ একেবারে কম। যার ফলে বাদাম চাষে অল্প খরচে বেশি আয় করা সম্ভব।
নবীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, নবীনগরের অন্যতম অর্থকরী ফসল বাদাম। নবীনগরের চর এলাকাগুলোতে বাদাম সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়। কৃষকদের উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ নিয়মিত অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বাদাম অত্যন্ত লাভজনক ফসল হওয়ায় আগামীতে এখানে বাদাম আবাদ আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কাউছার আলম/রাকিব