
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা। এতে প্রভাব পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষায়। তবে অনেক স্কুল শিক্ষকদের সরব কর্মসূচি পালন করেননি বলে খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে স্কুলের শিক্ষকদের কারণ দর্শানোসহ (শোকজ) বাধা দেওয়ারও অভিযোগ এসেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষকদের এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট বক্তব্য ও সমাধান করা প্রয়োজন। সরকারি চাকরিজীবীর বৃহৎ অংশ আন্দোলন করছেন। প্রায় সাড়ে তিন লাখের বেশি শিক্ষকের কর্মবিরতির ফলে এক কোটি কোমলমতি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতে ১১তম গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেড ও প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা। ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে এই কর্মসূচি চলছে। সংগঠনের নেতা মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ জানান, আমরা ৫ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত প্রত্যেক কর্মদিবসে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছি। ১৭ মে থেকে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি করছি। ২১ মে থেকে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করছি।
এর আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নে সম্প্রতি ঢাকায় কয়েক দফা সমাবেশ করেছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। এরপরও কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেননি। মেলেনি কোনো আশ্বাস। ফলে কর্মবিরতি চালিয়ে যেতে হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, কর্মবিরতি কর্মসূচির মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার ৭৫টি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে কারণ দর্শানো হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সচিব এবং মহাপরিচালকের নির্দেশের কথা বলে আন্দোলনরত শিক্ষকদের তালিকা চাওয়া হচ্ছে।
শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো- সরকারের গঠিত কনসালটেশন কমিটির সুপারিশের যৌক্তিক সংস্কার করে সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ। ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন। প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি প্রদান। উল্লেখ্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌনে ৪ লাখেরও বেশি শিক্ষক কর্মরত। তাদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের বর্তমান বেতন গ্রেড ১১তম। আর সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম।