
এভাবেই বাংলাদেশের রিপন ম-লের হেলমেট ধরে টানতে থাকেন দক্ষিণ আফ্রিকার এনটুলি, বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে
বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার সেপো ইনোসেন্ট এনতুলির সঙ্গে বাংলাদেশের রিপন ম-লের বাকবিত-ায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মিরপুর শেরেবাংলা। মাঠের খেলাতেও ছিল ইমার্জিং টাইগারদের দাপট। আগেরদিন এক পর্যায়ে ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারানো স্বাগতিকরা শেষ পর্যন্ত অলআউট হওয়ার আগে প্রথম ইনিংসে তুলে নিয়েছে ৩৭১ রান। ইফতেখার হোসেন ইফতির (১০৯) সেঞ্চুরি এবং মঈন খানের (৯১) প্রায় সেঞ্চুরির পর শেষদিকে দারুণ ব্যাটিং করেছেন রিপন ম-ল (৪৩) ও মেহেদি হাসান (অপরাজিত ৪৪)। জবাবে ৬ উইকেটে ১৫২ রান তুলে দ্বিতীয়দিন শেষ করেছে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দল। নয়ে নেমে দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন রিপন। তবে বাগতি-া-হাতহাতির ঘটনা এদিন আর সবকিছু ছাপিয়ে গেছে।
প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ২৪২ রানে আজ দ্বিতীয়দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের নামের পাশে তখন ৮৯ ওভার। দ্বিতীয় দিনের ১৬তম ওভারে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের মধ্যে শুরু হয় তুমুল তর্কযুদ্ধ। বাংলাদেশের ইনিংসের ১০৫তম ওভারের প্রথম বলের পর রিপন ম-লের দিকে তেড়ে যান প্রোটিয়া স্পিনার এনতুলি। রিপন তখন এনতুলিকে থামাতে গিয়েছেন। কিন্তু এনতুলি না থেমে উল্টো রিপনের হেলমেট ধরে টান দিয়েছেন। এনতুলি-রিপনের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামলাতে মাঠের দুই আম্পায়ারÑ মুহাম্মদ কামরুজ্জামান ও আর্নো জ্যাকব এগিয়ে আসেন। তবু রিপন-এনতুলির মধ্যে তর্কযুদ্ধ থামেনি।
একপর্যায়ে প্রোটিয়া ক্রিকেটারকে ব্যাট দিয়ে মারতে যান রিপন। বাংলাদেশের স্কোর তখন ১০৪.১ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯২ রান। এখান থেকে শেষ দুই উইকেটে বাংলাদেশ যোগ করে আরও ৭৯ রান। যেখানে ১১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রিপনকে ফেরান এনতুলি। ৯ নম্বরে নেমে ৩ চার ও ২ ছক্কায় রিপন করেছেন ৪৩ রান। নবম উইকেটে রিপন-মেহেদি হাসান যোগ করেন ৬০ রান।
১০ নম্বরে নামা মেহেদি ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ১২১.৪ ওভারে স্বাগতিকরা অলআউট হয়ে যায় ৩৭১ রানে। মোগাকানে ও এনতুলি নিয়েছেন ৪ ও ৩ উইকেট। জবাবে উদ্বোধনী জুটিতেই দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটার মুহাম্মদ মানাক ও মিকা এল প্রিন্স যোগ করেন ৪৮ রান। ১২তম ওভারের শেষ বলে প্রিন্সকে (১৭) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নাঈম। এরপর রোমাশান সোমা পিল্লায়কে নিয়ে ৪৮ রানের আরও একটি জুটি গড়তে অবদান রাখেন মানাক।
২৩তম ওভারের চতুর্থ বলে পিল্লায়কে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মেহেদি। পিল্লায় ফেরার পর দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে নামে ধস। ১ উইকেটে ৯৬ রান থেকে মুহূর্তেই তাদের স্কোর হয়ে যায় ৫ উইকেটে ১৫০ রান। ৪২তম ওভারের শেষ বলে মোগাকানের উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল হাসান। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর যখন ৪২.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান, তখন নামে বৃষ্টি। এখানেই দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করা হয়।