
ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এক প্রজ্ঞাপনে বিসিবির পরিচালক হিসেবে ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে তিনি শুধু পরিচালক পদই হারাননি, বরখাস্ত হয়েছেন বোর্ড সভাপতির পদ থেকেও।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ফারুক আহমেদ আর বিসিবি সভাপতির চেয়ারে থাকার যোগ্য নন। ফলে বর্তমানে বিসিবির সভাপতির পদটি শূন্য। শিগগিরই নতুন সভাপতি মনোনীত হবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার আলোচনায় আছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেট ব্যক্তিত্বকে নিয়ে বোর্ডের অভ্যন্তরে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে।
বিসিবির অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ থেকেই ফারুক আহমেদকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। গত বুধবার যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের কাছে চিঠি দেন বিসিবির ৮ জন পরিচালক, যেখানে তারা সভাপতির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তোলেন এবং পরিচালক পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেন—নাজমুল আবেদিন ফাহিম, মাহবুব আনাম, ফাহিম সিনহা, সাইফুল ইসলাম স্বপন চৌধুরি, ইফতেখার রহমান মিঠু, কাজী ইনাম আহমেদ, মঞ্জুর আলম এবং মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন চৌধুরী। তবে প্রাক্তন অধিনায়ক আকরাম খান এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেননি।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সরকারে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে, যার প্রভাব পড়ে ক্রীড়াঙ্গনেও। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় বিসিবির পরিচালক হন সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। পরে পরিচালকদের ভোটে বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মধ্যেই নেতৃত্ব নিয়ে তীব্র বিতর্ক এবং অনাস্থার মুখে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের হস্তক্ষেপে পরিচালক ও সভাপতির পদ হারান ফারুক আহমেদ।
এখন বিসিবির নেতৃত্বে নতুন অধ্যায়ের অপেক্ষা। সময়ই বলে দেবে কে হচ্ছেন দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পদে পরবর্তী অধিপতি।
আলীম