
বিসিএস প্রিলি পরীক্ষার তুলনায় বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় প্রস্তুতি নেবার জন্য সময় খুব কম পাওয়া যায়। এ কারণে বিসিএস প্রিলি ও লিখিত প্রস্তুতি একসঙ্গে নিতে পারলে ভালো হয়। তবে প্রিলিমিনারি এবং রিটেনের প্রস্তুতি যেহেতু একটু আলাদা সেহেতু যৌথভাবে এই প্রস্তুতি নিতে হলে আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে-
১. অনার্সের শুরু থেকেই পড়াশোনা শুরু করতে হবে।
২. নিয়মিত পড়ালেখার জন্য একটি রুটিন তৈরি করে নিতে হবে।
৩. রুটিনে প্রিলির প্রস্তুতি নেবার জন্য যে সময় রাখবেন তার মধ্যে ১৫ থেকে ২০% সময় লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবার জন্য বরাদ্দ রাখবেন।
৪. প্রিলির প্রস্তুতি হিসাবে যা পড়বেন সেগুলো গভীরভাবে পড়তে হবে। কোনো টপিক পড়বার সময় তার সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য পড়তে পারলে লার্নিং ডিপ হবে।
৫. পড়ালেখাকে নিজের আসক্তি করে তুলতে পারলে প্রিলি ও রিটেনের এই যৌথ প্রস্তুতি নেয়া অনেক অনেক সহজ হবে।
৬. নিয়মিত বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকা পড়ুন। সম্ভব হলে পত্রিকা থেকে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ কেটে বা ফটোকপি করে সংগ্রহ করুন। প্রতিদিনই বাংলা পত্রিকার সম্পাদকীয় অংশ বা আন্তর্জাতিক কোনো খবর ইংরেজিতে অনুবাদ করুন।
৭. বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক ম্যাপ রিডিং করতে শুরু করুন।
৮. প্রতিদিনই সংবিধানের কোনো না কোনো অনুচ্ছেদ পড়ুন।
৯. বাংলা সাহিত্য বিষয়ের জন্য মুক্তিযুদ্ধ ও অন্যান্য বিষয়ে ৩০-৪০টি পরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বই পড়ে ফেলুন।
১০. বাংলা ব্যাকরণের জন্য বিগত বিসিএসসমূহের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করুন। তাহলে প্রিলির জন্যও উপকৃত হবেন।
১১. বাংলা একাডেমির বানানরীতি চর্চা করুন।
১২. আন্তর্জাতিক সাম্প্রতিক সব বিষয়ে যথাযথভাবে জানার জন্য পত্রিকা পড়ার পাশাপাশি বিসিসি, আল জাজিরা ও সিএনএনের মতো নিউজ চ্যানেলগুলি দেখুন। এতে করে ইংরেজির ক্ষেত্রেও উপকার পাবেন।
১৩. বিজ্ঞান বিষয়ের জন্য ৯ম-১০ম শ্রেণির বোর্ড বইয়ের পাশাপাশি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ বিজ্ঞান বইটি পড়ুন।
১৪. গণিত বিষয়ের জন্য অন্তত বিগত ৩-৫টি বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করতে হবে।
১৫. মানসিক দক্ষতার জন্য বিগত ৫টি বিসিএসের প্রিলি এবং রিটেনের প্রশ্ন সমাধান করতে পারলে আর কিছুর দরকার পড়বে না।
বিশেষভাবে মনে রাখবেন বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে ডিপ লার্নিং আপনাকে বিসিএস প্রিলিমিনারি এবং লিখিত- এর ক্ষেত্রে অনেক বেশি এগিয়ে দেবে।
চাকরি বাজার ডেস্ক
প্যানেল