
শিক্ষাশিবিরের সমাপনী দিনে বক্তব্য রাখেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, আবু সাঈদসহ ছাত্ররা প্রাণ দিয়েছিল দেশের মৌলিক সংস্কারের জন্য। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে স্বৈরাচারী ব্যবস্থায় দেশ ফিরে আসার আশংকা থেকে যায়। সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেলেও শাসক আবারও দানবে পরিণত হতে পারে। এজন্য সংস্কার প্রয়োজন। আমরা আশা করছি আবু সাঈদের শহীদ দিবসে সংবিধান সংস্কারসহ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। শনিবার দুপুরে আরডিআরএস হল রুমে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন আয়োজিত ‘জাতীয় সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান সরকার অধ্যাদেশ জারীর মাধ্যমে কিছু সংস্কার কাজ শুরু করতে পারবে। কিন্তু কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলের সম্মতি লাগবে। তা আমরা জাতীয় সনদে অর্ন্তভুক্ত করেছি। জাতীয় সনদের বিষয় নিয়ে আপনাদের সবাইকে সচেতন ও সোচ্চার হতে হবে।
ছাত্র রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, ছাত্ররা রাজনীতি করবে, সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে অংশ নেবে। লাঠিয়াল বাহিনী হলে তারা দলের ভেতরে হবে। হাসিনার পতন শুরু হয়েছিল যেদিন ছাত্রলীগকে বিশ^বিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। এ ধরনের লাঠিয়ালের রাজনীতি স্বৈরাচার সৃষ্টিতে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে। আমরা ছাত্র রাজনীতি বন্ধ চাই না, লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি, পেশাজীবী সংগঠন বন্ধ হওয়া দরকার।
সংসদ বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ প্রয়োজন। উচ্চ কক্ষ করার উদ্দেশ্য হলো সমাজের সকল স্তরের মানুষ যেন প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। আমার প্রস্তাব রয়েছে উচ্চ কক্ষ হবে অর্ধেক দলীয় ও অর্ধেক নির্দলীয় এবং সংখ্যানুপাতিক হারে। নি¤œকক্ষে জনস্বার্থ বিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে উচ্চ কক্ষ তার ওপর নজরদারী রাখতে পারবে।
মহানগর সুজনের সভাপতি অধ্যক্ষ খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দিলিপ সরকার, আইনজীবী অ্যাডভোকেট জোবাইদুল ইসলাম, মাহে আলম, সমাজকর্মী মঞ্জুশ্রী সাহাসহ অন্যরা।