
নিহত তুষার খান
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে হাত-পা বাঁধা ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার। আজ (২৮ মে) সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির আড়ার সাথে হাত পা বাধা ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ব্যাসপুর খাল পাড়া গ্রামের সুলতান খানের ছেলে।
নিহত তুষার খানের মা কুলসুম বেগম জানান, আমার ছেলে তুষার জয়নগর বাজারের পল্টি ব্যাবসায়ী ইলিয়াছ মোল্লার গাড়ির ড্রাইভার ছিল এবং তার ভাগনি জামাই হয়। কি নিয়ে, কার সাথে অভিমান করে একাজ করলো তা বলতে পারবো না। তবে মোবাইলে কথা বলা নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতে।
নিহত তুষারের ছোট চাচা শুকুর আলী খান জানান, আমার ভাতিজা তুষারের স্ত্রী মুক্তা আজ থেকে ৮-১০ দিন আগে নতুন বাসা না নিলে তার বাড়ি আর ফিরে আসবে না বলে চলে যায় এবং কোন যোগাযোগ ছিল না। বউয়ের সাথে মনোমালিন্য থাকায় আমার ভাতিজা একাজ করে থাকতে পারে।
ছোট বোন নুসরাত গত দু সপ্তাহে আগে ফরিদপুর মেডিক্যাল ভর্তি ছিল। বাড়িতে আসলে আমার ভাবি ভাইয়ার সাথে কথা বলতে দিত না। আমার ভাই গোপনে মার সাথে কথা বলতো। আমার ভাবি বেহিসাবি মানুষ। সে সব সময় বড়লোকি ভাবে চলাচল করতো। আমার ভাবিতো নতুন স্বামী পাবে কিন্তুু আমার আমার ভাইকে তো আর ফিরে পাবোনা।
মৃত্যু কালে তার এক ছেলে নাম মোস্তাকিম (৪) বছর এবং ৯ বছরের তৃষামনি নামের এক মেয়ে রেখে গেছেন।
কাশিয়ানী থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি আমার ফোর্সসহ ঘটনস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। বাদির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
রাজু