
ছবিঃ সংগৃহীত
সম্পত্তি কেনাবেচায় সাধারণ মানুষ নানা ঝুঁকির মুখে পড়েন, বিশেষ করে আইনগত জটিলতা বা অসচেতনতার কারণে। এমনকি আপনার নামে রেজিস্ট্রিকৃত দলিল থাকলেও, এক মারাত্মক ভুলের কারণে আপনি আপনার জমির মালিকানা হারাতে পারেন। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু দলিল থাকলেই চলবে না, দলিলে বর্ণিত দাগ নম্বর ও চৌহর্দি যদি সঠিক না হয়, তাহলে জমির মালিকানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
দলিল রেজিস্ট্রির সময় অনেক সময় দেখা যায়, দলিল লেখক দাতার দেওয়া ভুল বা অসম্পূর্ণ কাগজপত্রের ভিত্তিতে দাগ নম্বর বা চৌহর্দি উল্লেখ করেন, যা পরে বাস্তব অবস্থানের সঙ্গে মেলে না। ক্রেতা দলিলের ভাষা বা তথ্য যাচাই না করেই দলিল রেজিস্ট্রি করে ফেলেন। এতে দেখা যায়, দলিলে যে জমির কথা বলা হয়েছে, সেই জমির অস্তিত্বই নেই কিংবা চৌহর্দি এমনভাবে দেওয়া হয়েছে যে তা অন্যের জমির মধ্যে পড়ে।
এছাড়া, অবিভক্ত বা ওয়ারিশী সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রেও রয়েছে বড় ধরণের ঝুঁকি। অনেক সময় দেখা যায়, দাতা তার পুরো অংশ বিক্রি করে দিলেও, প্রকৃতপক্ষে তার নামে নামজারি হওয়া জমি মাত্র ১০ শতাংশ, আর বাকি অংশ অন্য ওয়ারিশদের নামে। ফলে ক্রেতা জমির দখল কিংবা নামজারি কিছুই করতে পারেন না।
একইভাবে, এওয়াজ বদলের ক্ষেত্রেও রয়েছে বড় ধরণের জটিলতা। যদি উভয় পক্ষ তাদের নিজস্ব নামে বৈধ জমি না দিয়ে বিনিময় করেন, তাহলে ভবিষ্যতে ওয়ারিশদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এতে দলিল থাকা সত্ত্বেও জমির উপর ভোগ দখল বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
কী করণীয়?
-
দলিল করার আগে সরজমিনে গিয়ে জমির সীমানা, চৌহর্দি এবং দাগ নম্বর যাচাই করুন।
-
নকশা ও খতিয়ান মিলিয়ে দেখুন।
-
দাতার জমির মালিকানা এবং নামজারি অবস্থান যাচাই করে নিন।
-
অবিভক্ত সম্পত্তি কিনতে হলে অন্য ওয়ারিশদের নাদাবি সনদ সংগ্রহ করুন।
-
এওয়াজ বদল বা বণ্টন দলিলের ক্ষেত্রে সব পক্ষের সম্মতি ও স্বাক্ষর নিশ্চিত করুন।
সতর্ক থাকুন, জমি কিনুন বুঝে শুনে — নইলে দলিল থাকা সত্ত্বেও জমি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে!
ইমরান