
ছবি- দৈনিক জনকণ্ঠ
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরের খামারগুলোতে যত্ন করে পশু মোটা-তাজা করনে শেষ সময়ে পশুর বাড়তি যত্ন ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন খামারিরা। তবে গোখাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও ভারতীয় পশুর অতিরিক্ত সরবরাহ থাকায় কোরবানির হাটে গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়ার ন্যায্য দাম নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন তাঁরা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর লক্ষ্মীপুর জেলা কার্যালয়ের দেয়া তথ্য মতে, কোরবানির জন্য জেলায় পশুর চাহিদা ৮৮ হাজার হলেও এবার লালন-পালন করা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৫৬টি পশু, যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ৫০ হাজার বেশি। জেলার পাঁচটি উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার ছোট-বড় খামারে চলছে কোরবানির পশুর পরিচর্যা।
মেহেদী এগ্রো ফার্ম মালিক শামীম আহমেদ জানায়, তার খামারে দেশীয় জাতের শতাধিক গরু রয়েছে। গরুগুলোকে পুষ্টিকর খাবার যেমন খৈল, ভুসি, ছোলা, সবুজ ঘাস ও গম খাওয়ানো হচ্ছে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে পশু মোটাতাজা করা হচ্ছে, কোনো হরমোন বা স্টেরয়েড ব্যবহার করা হচ্ছে না। প্রাকৃতিক উপায়ে এসব গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। শুধু এই খামারেই নয়, জেলার অন্যান্য খামারেও চলছে অতিরিক্ত যত্ন, পরিচর্যা ও পশু চিকিৎসার ব্যবস্থা।
জেলার মজুত অনুযায়ী পশুর কোনো ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা নেই বলেও মনে করছেন স্থানীয় খামারিরা। তবে সীমান্ত দিয়ে অবাধে ভারতীয় গরু আসায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় এ বিষয়ে সরকারি হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা।
এদিকে ক্রেতারা বলছেন, গরুর বাজারে এখনই গত বছরের তুলনায় বেশি দাম গুনতে হচ্ছে। অনেকেই ইতিমধ্যে গরু কিনলেও বেশির ভাগ ক্রেতা ঈদের কদিন আগেই বাজারে যাবেন বলে জানা যায়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কুমুদ রঞ্জন মিত্র জানান, খামারিদের নিয়মিত পরামর্শ ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। জেলার চাহিদার তুলনায় পশু বেশি থাকায় ঈদে ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই। পাশাপাশি ভারত থেকে গরু আসা ঠেকাতে কড়া নজরদারিতে রয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। কোরবানির সময় প্রতিটি হাটে পশু চিকিৎসক মোতায়েন থাকবে বলেও জানান তিনি।
নোভা