
ছবি: জনকণ্ঠ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা পুলেরপাড় বাজার হতে আরডিআরএস বাজার হয়ে জেলা সদরে যাতায়াতের সড়কটি বেহাল হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। শুধু জেলা সদরে যেতেই নয় যাতায়াতের ভোগান্তি স্থানীয়দের নিত্যসঙ্গী। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটি পড়ে আছে অযত্ন ও অবহেলায়। এদিকে উপজেলা প্রকৌশলী জানায়, সড়ক সংস্কারের প্রস্তাবনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। তবে বরাদ্দ মেলেনি।
সরজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় ধসে গেছে দুইপাশের মাটি। সরু হয়ে গেছে সড়ক। উঠে গেছে কার্পেটিং, সড়কে তৈরি হয়েছে ছোট বড় গর্ত। বর্ষায় সড়কের এসব গর্তে কাদা পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে পড়েছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। ফলে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা।
যাতায়াতের ভোগান্তির শিকার পথচারীরা জানান, এ বেহাল সড়কে ফুলবাড়ী ডিগ্রী কলেজ, ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজ, শাহ বাজার এএইচ সিনিয়র ডিগ্রি মাদ্রাসা, বড়ভিটা উচ্চ বিদ্যালয়, বড়ভিটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শাহ বাজার উচ্চ বিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে হয়। ব্যবসায়িক মালামাল পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বাংলা বাজার, আরডিআরএস বাজার, ওয়াপদা বাজার, বড়লই বাজার, বড়ভিটা বাজার ও শাহ বাজারের ব্যবসায়ীদের। এছাড়াও কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে বিপত্তি ও অসুস্থ রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও ভোগান্তির কারণ হয়েছে ওই সড়ক।
উত্তর বড়ভিটা এলাকার স্কুল শিক্ষক মোখলেচুর রহমান বলেন, 'আমার বাড়ির সামনে প্রায় সড়কের পনেরো ফিট ধসে গেছে। প্রায় দিন এখানে দুর্ঘটনা ঘটে। এই জায়গায় অনেকে আহত হয়েছে। যে কোন সময় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে। এটার সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। '
অটোরিকশা চালক আমিনুল ইসলাম বলেন, এ পথে অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, ট্রাক, ট্রলি সহ প্রায় সব ধরনের যানবাহন চলাচলে করে। রাস্তাটির এমন দশার কারণে প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জান্নাতি খাতুন জানান, সড়কটির বেশিরভাগ অংশ বড়ভিটা ইউনিয়নে। ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে কিছু জায়গায় বালি ও খোয়া ফেলে মানুষেরা চলাচল উপযোগী করেছেন। তবে গোটা সড়ক চলাচল উপযোগী করার সক্ষমতা ইউনিয়ন পরিষদের নাই। এটি প্রশস্ত করাসহ সংস্কারের ব্যবস্থা নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মামুনুর রহমান জানান, গত অর্থ বছরে সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রস্তাবনা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সড়কটির জন্য অর্থ বরাদ্দ মেলেনি। এদিকে সড়কের অবস্থাও বেহাল। জিওবি অর্থায়নে যতটুকু সম্ভব সড়কটি সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
সাব্বির