ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ইন্দোনেশিয়ায় পাথর খনিতে ধস: নিহত অন্তত ১০, নিখোঁজ বহু   

প্রকাশিত: ০৮:৪৩, ৩১ মে ২০২৫; আপডেট: ০৮:৪৭, ৩১ মে ২০২৫

ইন্দোনেশিয়ায় পাথর খনিতে ধস: নিহত অন্তত ১০, নিখোঁজ বহু   

ছবিঃ সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশের সিরেবন জেলার গুনুং কুদা খনিতে ভয়াবহ ধসে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (BNPB) জানায়, নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এই দুর্ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সকালবেলা। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপ সরাতে বড় বড় পাথর সরাচ্ছেন, এবং অ্যাম্বুলেন্সে মৃতদেহ ব্যাগে ভরে তোলা হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে উদ্ধারকারীদের একাধিক মরদেহ টেনে তুলতে হিমশিম খেতে দেখা যায়। অন্য একটি ভিডিওতে ধ্বসে পড়া পাথরের স্তূপ থেকে ধুলোর মেঘ উঠলে আতঙ্কিত লোকজনকে দৌড়ে পালাতে দেখা গেছে।

সিরেবনের পুলিশ প্রধান সুমারনি জানান, উদ্ধারকাজ এখনো চলছে এবং এ পর্যন্ত অসংখ্য আহত ব্যক্তিকে ধ্বংসাবশেষ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে পুলিশ, সেনাবাহিনী, স্বেচ্ছাসেবী ও পাঁচটি এক্সক্যাভেটর ব্যবহার করা হচ্ছে।

তবে দুর্বল মাটি ও ধসের ঝুঁকি উদ্ধারকাজ ব্যাহত করছে বলে জানান তিনি। BNPB জানায়, দুর্ঘটনায় তিনটি এক্সক্যাভেটর মাটিচাপা পড়েছে। এখনও নিখোঁজদের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।

পশ্চিম জাভার গভর্নর দেদি মুলিয়াদি ইনস্টাগ্রামে বলেন, “সাইটটি অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং এটি শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তা মানদণ্ড পূরণ করে না।” তিনি আরও জানান, তার দায়িত্বগ্রহণের আগেই খনিটি খোলা হয়েছিল এবং তা বন্ধ করার এখতিয়ার তার ছিল না। তবে তিনি গুনুং কুদা ও আরও চারটি খনি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।

ইন্দোনেশিয়ায় অবৈধ খনি চালানো একটি সাধারণ ঘটনা। অল্প বেতনে শ্রমিকরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য হন যেখানে ধস, বন্যা এবং বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহারে মৃত্যু প্রায়শই ঘটে।

এর আগেও গত মাসে পশ্চিম পাপুয়ার আরফাক পর্বতমালায় বৃষ্টিজনিত ভূমিধসে ছয়জনের মৃত্যু হয়। ২০২৪ সালে সুমাত্রা দ্বীপে আরেকটি অননুমোদিত সোনার খনিতে ভূমিধসে প্রাণ হারান কমপক্ষে ১৫ জন।

সূত্র: আল জাজিরা

নোভা

আরো পড়ুন  

×